গৃহবধূ আরিফা বেগমকে অ্যাসিড ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টায় অভিযুক্তদের মধ্যে স্বামী সেখ নজরুলকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
গত ১১ নভেম্বর উলুবেড়িয়ার বাজারপাড়ায় ওই ঘটনায় আক্রান্ত আরিফার বাপের বাড়ির লোকজন ১৩ নভেম্বর জামাই সেখ নজরুল, শ্বশুর সেখ গুলফান, শাশুড়ি জুবেদা বেগম, ভাসুর সেখ রেজাউল এবং দুই ননদ মারুফা খাতুন ও সরিফা খাতুনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তারপর থেকেই তারা সকলেই পলাতক ছিল। তাদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হন আরিফার পরিবার ও ‘সেভ ডেমোক্রেসি’র সদস্যরা।
এরপরেই সোমবার রাতে বাজারপাড়ার কাছেই এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে পুলিশ সেখ নজরুলকে ধরে। পুলিশের দাবি, জেরায় নজরুল স্বীকার করেছে যে সে আরিফাকে অ্যাসিড ছুড়ে মেরেছে। নজরুলকে সঙ্গে করে তার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে অ্যাসিডের বোতলটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ধৃতকে উলুবেড়িয়া এসিজেএম আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
তবে নজরুল ধরা পড়লেও বাকি অভিযুক্তদের ধরতে পারেনি পুলিশ। হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, তাদের ধরতে বিভিন্ন জায়গায় জোর তল্লাশি চলছে। শীঘ্রই তারা ধরা পড়বে। আরিফা একটু সুস্থ হলে তাঁকে বিচারকের কাছে গোপন জবানবন্দি দেওয়ানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। পরে প্রয়োজনে নজরুলকে পুলিশ হেফাজতেও চাওয়া হতে পারে।
উলুবেড়িয়ার পালোড়া গ্রামের আরিফার সঙ্গে বাজারপাড়ার সেখ নজরুলের ২০১২ সালে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই আরিফার শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে টাকার দাবি করা হত। অভিযোগ, তার জেরেই গত ১১ নভেম্বর সকালে শ্বশুরবাড়িতেই অ্যাসিড ছুড়ে মারা হয় তাঁর গায়ে। তাঁকে খুন করতে চাওয়া হয়েছিল বলে আরিফার অভিযোগ। তাঁকে তিনদিন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয়। রবিবার তিনি বাড়ি ফেরেন। তারপরেই পরিবারের লোকজন শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
সোমবার সেভ ডেমোক্রেসির সদস্যরা আরিফার সঙ্গে দেখা করেন। তাঁকে সবরকম সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy