ধূলিস্মাৎ: ভেঙে ফেলা হচ্ছে বেআইনি অট্টালিকা। ছবি: সুশান্ত সরকার
সাদা রঙের বিশাল অট্টালিকা। মালিকও প্রভাবশালী। কিন্তু বেআইনি প্রমাণিত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার বাঁশবেড়িয়া মগরার কালীতলায় তৃণমূলের কার্যকারী সভাপতি দেবরাজ পালের বেআইনি অট্টালিকা ভেঙে দিলো বাঁশবেড়িয়া পুরসভা।
চেয়ারম্যান অরিজিতা শীল বলেন, ‘‘দেবরাজ পাল দলের পদে থেকে এলাকায় বহু মানুষের কাছ থেকে জোর করে জমি, বাড়ি দখল করেছিল। আমরা অভিযোগ পেয়ে পদক্ষেপ নিয়েছি। ওই জায়গার মালিক ছিলেন পরেশচন্দ্র ঘোষ। তিনি মারা যাওয়ার পর জমিটির বর্তমান মালিক তাঁর জামাই সিদ্ধার্থ তরাত। প্রথমে বিষয়টি নিয়ে পুরসভার পক্ষ থেকে দেবরাজ পালের বাড়িতে চিঠি দিয়েছিলাম। তার কোনও উত্তর আসেনি। এরপর চুঁচুড়া আদালতের নির্দেশ পেয়ে মগরা থানার সহযোগিতায় বেআইনি অট্টালিকা ভেঙে দেওয়া হয়। জায়গাটি সিদ্ধার্থ তরাতকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’
সিদ্ধার্থবাবু এ দিন বলেন, ‘‘পৌরসভার পদক্ষেপে আমরা খুশি। ২০১৪ সালে দেবরাজ রিভলবার দেখিয়ে সামান্য টাকা দিয়ে জমিটা দখল করে নেয়। এরপর বহুবার অনুরোধ করা হলেও জমি ফেরত দেয়নি। জমি ফেরতের দাবি নিয়ে শাসক দলের মন্ত্রীদের জানালেও কোনও লাভ হয়নি। এরপর আদালতে অভিযোগ জানাই। আদালতের রায়ে জমি ফিরে পেয়েছি।’’
স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন চুঁচুড়া-মগরা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দেবব্রত বিশ্বাস বলেন, ‘‘তৃণমূলের কিছু নেতাদের জন্য আমাদের দলের ক্ষতি হয়েছে। দেবরাজ আমাদের দলের কাছে লজ্জার বিষয়। দেবরাজ ভয় দেখিয়ে, জোর করে অনেকের থেকেই জমি, বাড়ি দখল করেছে। সেই জমি বা বাড়ি যাতে আসল মালিকেরা ফেরত পান, তা দেখা হবে। এই বিষয়ে মগরা থানা, পুরসভা এবং জেলা সভাপতি দিলীপ যাদবকে জানিয়েছি।’’
জেলা তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, ‘‘মগরার দেবরাজ পালের সঙ্গে তৃণমূলের আর কোনও সম্পর্ক নেই। দল বেআইনি কাজ সমর্থন করে না। পুরসভা আইন অনুযায়ী কাজ করেছে।’’
এই বিষয়ে দেবরাজ পাসের প্রতিক্রিয়া জানার জন্য বার বার ফোন করা হলেও তাকে
পাওয়া যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy