আর্তি: কান্নায় ভেঙে পড়েছেন টিনার মা। ছবি: সুশান্ত সরকার
চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়নি তিন দিন পরেও। মঙ্গলবার রাতেই পোলবার আক্রান্ত যুবতীকে তাঁর পরিবার বর্ধমানের এক নার্সিংহোমে স্থানান্তর করেছেন। সেখানে টিনা কোলেকে দেখে চিকিৎসক জানিয়ে দিয়েছেন অস্ত্রোপচার করতে দেড় লক্ষ টাকা লাগবে।
এতটাকা আসবে কোথা থেকে, তা নিয়েই আতান্তরে গোটা পরিবার। বুধবার দুপুরে নেকশা ঘোষপুরের বাড়িতে বসে টিনার মা রিনা কোলে বলেন, ‘‘যন্ত্রণায় ছটফট করছে মেয়েটা। শুধু ওষুধ দিয়ে ব্যথা কমানোর চেষ্টা করছেন চিকিৎসকরা। আদতে তেমন কোনও সুরাহা হচ্ছে না।’’
কিন্তু সরকারি হাসপাতালে না নিয়ে নার্সিংহোমে নিয়ে গেলেন কেন?
রিনাদেবী জানান, ‘‘আমাদের এক পরিচিত বললেন, ওখানে গেলেই সুচিকিৎসা পাওয়া যাবে।’’ রাজ্যের মন্ত্রী ও এলাকার বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত মঙ্গলবার ঘটনার কথা জানতে পেরে মেয়েটির চিকিৎসায় সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘আমরা পাশে আছি। কিন্তু মেয়েটিকে তো নার্সিংহোমে ভর্তি করে দেওয়া হয়েছে। তার আগে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগও করা হয়নি।’’ এ দিনও তিনি আশ্বাস দেন প্রয়োজনে টিনাকে সরকারি হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করা হবে।
রিনাদেবী অবশ্য দাবি করেছেন টিনার বাবা শম্ভুচরণ কোলে এ দিন বর্ধমানে ছিলেন। সেখান থেকে ফিরেই তিনি মন্ত্রীর কাছে যাবেন। রবিবার সন্ধ্যায় পোলবার নেকশার ঘোষপুর আক্রান্ত হন টিনা কোলে। দুষ্কৃতীর ধারালো অস্ত্র দিয়ে মুখে ও মাথায় আঘাত করে। ঘটনার তিন দিন পরেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে ঘটনার পর থেকে এলাকায় চলছে পুলিশি টহল। থানা সূত্রে দাবি করা হয়েছে, কয়েকদিনের মধ্যেই ধরা পড়ে যাবে অভিযুক্তরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy