অঘটন: বেলুড় মঠ ডাকঘরের সামনে ধস। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র
এলাকার নীচে রয়েছে মান্ধাতার আমলের নিকাশি লাইন। কিন্তু তার কোনও মানচিত্র নেই স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। আর নিকাশি লাইনের এই বেহাল অবস্থার জেরে বারবার ধস নামছে রাস্তায়। প্রতি বার পুরসভার তরফে মেরামতি করা হলেও তার আয়ু বেশি দিন থাকছে না। মঙ্গলবার সকালে বেলুড় মঠ ডাকঘরের সামনের রাস্তায় ফের ধস নামল। তবে পুরসভা এ বার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কেএমডিএ-র সাহায্য নিয়েই এলাকার রাস্তা সংস্কারের কাজ হবে।
এ দিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ আচমকাই স্বামী বিবেকানন্দ রোডে ধস নেমে প্রায় সাড়ে পাঁচ ফুট গভীর গর্ত তৈরি হয়। পিচের আস্তরণ ভেঙে এক দিকে হেলে যায় রাস্তা। স্থানীয়েরা জানান, ওই গর্ত দিয়ে দেখলে নীচে সুড়ঙ্গের মতো দেখা যাচ্ছে। বালি ট্র্যাফিক পুলিশ ওই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। আসেন পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারেরাও।
বাসিন্দারা জানান, পুজোর আগেও ওই রাস্তায় ধস নেমেছিল। এ ছাড়াও, ওই রাস্তাটি যেখানে মিশেছে সেই লালাবাবু সায়র রোডেও এক বছরের মধ্যে অন্তত তিন বার ধস নেমেছে। পুরসভা সূত্রের খবর, ভূগর্ভস্থ নিকাশি নালাগুলি ভেঙে গিয়ে জল-মাটি, খোয়ার সঙ্গে মিশে ভূগর্ভস্থ আস্তরণকে আলগা করে দেওয়ায় ভারী গাড়ির চাপে ধস নামছে। প্রায় ৪২ বছর আগে বালি এলাকার ভূগর্ভস্থ নিকাশি নালার কাজ করেছিল তৎকালীন সিএমডিএ (এখন কেএমডিএ)। হাওড়ার মেয়র রথীন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সংস্কার করতে হলে জনবহুল ওই পুরো রাস্তা বন্ধ করে কাজ করতে হবে। তবে নাগরিকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে কেএমডিএ–কে সঙ্গে নিয়েই কাজ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy