Advertisement
E-Paper

ব্যান্ডেলে তরুণী খুনে প্রেমিক গ্রেফতার বোলপুরে

ব্যান্ডেল স্টেশন চত্বরে যুবতী খুনের ঘটনায় পুলিশের জালে ধরা পড়ল অভিযুক্ত প্রেমিক।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ২৬শে জানুয়ারি হুগলির ব্যান্ডেল স্টেশন সংলগ্ন ভাগাড়ের জলাশয় থেকে এক অজ্ঞাত পরিচয় যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়না তদন্তের পর গত ১ ফেব্রুয়ারি যুবতীর পরিবারের সদস্যরা মৃতদেহ শনাক্ত করেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:০২
বিপ্লব ঘোষ।নিজস্ব চিত্র।

বিপ্লব ঘোষ।নিজস্ব চিত্র।

ব্যান্ডেল স্টেশন চত্বরে যুবতী খুনের ঘটনায় পুলিশের জালে ধরা পড়ল অভিযুক্ত প্রেমিক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ২৬শে জানুয়ারি হুগলির ব্যান্ডেল স্টেশন সংলগ্ন ভাগাড়ের জলাশয় থেকে এক অজ্ঞাত পরিচয় যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়না তদন্তের পর গত ১ ফেব্রুয়ারি যুবতীর পরিবারের সদস্যরা মৃতদেহ শনাক্ত করেন। কলকাতার চিৎপুর থানার পাইকপাড়া রোডের বাসিন্দা মৌসুমী বর্মন নামে ওই যুবতীর সঙ্গে কয়েক মাস আগে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়েছিল বর্ধমানের কাটোয়ার বাসিন্দা বিপ্লব ঘোষের। বিপ্লব দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে একটা চামড়ার কারখানায় কাজ করে। দু’জনের মধ্যে সর্ম্পকও তৈরি হয়েছিল। মৌসুমীর তরফে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া হলে দু’জনের সর্ম্পকে চিড় ধরতে শুরু করে।

গত ২২ জানুয়ারি মৌসুমী বাড়ি থেকে বেরোয়। তারপর থেকে তাঁর আর খোঁজ ছিল না। পরিবারের পক্ষ থেকে চুঁচুড়া থানায় নিখোঁজ সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরে চুঁচুড়া থানা থেকে খবর পেয়ে মৌসুমীর মৃতদেহ শনাক্ত করার পর তাঁর পরিবার ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ দায়ের করে। তদন্তে নেমে পুলিশ বর্ধমানের কাটোয়ার বাসিন্দা বিপ্লব ঘোষের সম্পর্কে জানতে পারে। এরপর মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকশন ধরে পুলিশ জানতে পারে বিপ্লব বোলপুরে রয়েছে। ১১ ফেব্রুয়ারি চুঁচুড়া থানার সাব ইনস্পেক্টর প্রসেনজিৎ ঘোষের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি দল বীরভূমের বোলপুরে যান। সেখানে মাসীর বাড়ি থেকে বিপ্লবকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশের দাবি, জেরায় বিপ্লব খুনের কথা কবুল করেছে। সে জানিয়েছে, বিয়ের জন্য বার বার চাপ দেওয়ায় সে মৌসুমীকে খুন করতে বাধ্য হয়। খুনের পরিকল্পনা করে ২২ জানুয়ারি সে মৌসুমীর সঙ্গে দেখা করবে বলে তাঁকে ব্যান্ডেলে ডাকে। সেখানে দু’জনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। তার মধ্যেই সে স্টেশন চত্বরে নির্জন এলাকায় নিয়ে গিয়ে মৌসুমীকে মেরে একটা নালায় ফেলে পালিয়ে যায়। খুনের পর বাড়ি না গিয়ে বোলপুরে মাসীর বাড়িতে চলে যায়। কারণ তার মনে হয়েছিল পুলিশ বাড়িতে হানা দিতে পারে। সোমবার তাকে চুঁচুড়া আদালতে হাজির করা হলে বিচারক ৬ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পুলিশের এক পদস্থকর্তা জানান, একটা খুনের মামলা শুরু হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে আর কেউ যুক্ত আছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বিপ্লবকে গ্রেফতারের খবরে মৌসুমীর বাবা পার্থ বর্মন বলেন, ‘‘আমার মেয়েকে যে খুন করেছে তার যেন উপযুক্ত শাস্তি হয়।’’

Lover Girlfriend Murder Arrest
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy