আপাত শান্ত: এই ষাঁড়ের মতিগতি নিয়ে চিন্তিত এলাকাবাসী।
দীর্ঘদিনের চেনা ভোলা দু’দিন ধরে অচেনা হয়ে গিয়েছে ভদ্রেশ্বরের বিঘাটির দিঘরা এলাকায়।
সাদা-কালো ষাঁড়টির শিংয়ের গুঁতোয় দিলীপ ওঁরাও (৬০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। সামনে যাঁকে পাচ্ছে, তাঁর দিকেই তেড়ে যাচ্ছে ষাঁড়টি। ফলে, দু’দিন ধরে ওই এলাকার বাসিন্দারা কার্যত গৃহবন্দি হয়ে রয়েছেন। কেউ কেউ আবার রাস্তায় লাঠি নিয়ে বেরোচ্ছেন। ভোলার হাত থেকে বাঁচতে এলাকাবাসী পুলিশেরও দ্বারস্থ হয়েছেন। কিন্তু শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ষাঁড়টিকে ধরার ব্যবস্থা হয়নি। ষাঁড়টির উপরে নজর রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চন্দননগর কমিশনরাটের এক কর্তা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় অনেকদিন থাকলেও শুক্রবার থেকে কার্যত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ভোলা। তার এ হেন আচরণে অনেকেই অবাক। শুক্রবার থেকে তার সামনে কেউ এলেই শিং বাগিয়ে তাড়া করছে। গত শুক্রবার রাতে বিঘাটির ধিতাড়ার বাসিন্দা দিলীপবাবু বাজার থেকে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। অন্ধকারে ভোলাকে খেয়াল করেননি। বাড়ির কাছেই দৌড়ে এসে ভোলা তাঁকে গুঁতিয়ে ফেলে দেয়। জখম অবস্থায় দিলীপবাবু কোনওক্রমে
বাড়ি ফেরেন। তাঁকে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের লোকেরা। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়। শনিবার ভোরে সেখানেই তিনি মারা যান। মলয় পাল নামে দিঘরার এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘খুব ভয়ে দিন কাটাচ্ছি। দু’দিন ধরে যাঁকে সামনে দেখছে, তাঁর দিকেই ভোলা ধেয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ হঠাৎ আট থেকে আশি— সকলকে দৌড়তে হচ্ছে প্রাণভয়ে। ষাঁড়টা যে এমন ভয় ধরাবে কে ভেবেছিল! ষাঁড়ের গুঁতোয় কয়েকজন আহতও হয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy