বৈঠক: পুরশুড়ার রাউতারায়। নিজস্ব চিত্র
দিনের পর দিন চোলাইয়ের কারবার চলে আসছে পুরশুড়ার রাউতারা গ্রামের খালের ধারে। ওই এলাকায় প্রায় ১০০টি মদের ভাটি আছে। ৩০০টির মতো পরিবার এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। প্রকাশ্যে এই ব্যবসা চললেও পুলিশ-প্রশাসন তা বন্ধ করতে ব্যর্থ। এই ব্যবসা বন্ধ করতে এগিয়ে এল তৃণমূল। স্থানীয় তৃণমূল নেতারা গত রবিবার চোলাই কারবারিদের নিয়ে মিটিং করেন। পুরশুড়া ২ পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এই কারবার আর চালানো যাবে না। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রত্যেককেই তা বন্ধ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে হবে। গ্রামবাসীদের দাবি, পুলিশ-প্রশাসন এবং এক শ্রেণির সিপিএম ও তৃণমূল নেতাদের মদতে দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যবসা চলে আসছে। চোলাই কারবার পুরোপুরি বন্ধ হোক চান গ্রামবাসীরাও। এলাকার কিছু মহিলা জানান, এই কারবারের জন্য তাঁদের সংসার নষ্ট হতে বসেছে। টাকা-পয়সা না থাকলে ঘটি-বাটি বিক্রি করে চোলাইয়ে ডুবে থাকছে পুরুষেরা। পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে পুরশুড়ার ওসি অমিতাভ সান্যাল বলেন, ‘‘অভিযোগ মিথ্যা। মাঝে মাঝে অভিযান চালানো হয়।’’ পঞ্চায়েত প্রধান বাবলু বাগ বলেন, ‘‘এই কারবার চলতে দেওয়া যাবে না। ১৫ দিনের মধ্যে এই ব্যাবসা বন্ধ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে হবে।’’ পুরশুড়া ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি মোমিন মেদ্দা বলেন, ‘‘তাঁদের স্বাভবিক জীবনে ফেরানোর জন্য সব রকম সাহায্য করা হবে। ১০০ দিনের কাজ থেকে শুরু করে সরকারের যা যা প্রকল্প আছে সব কিছুই যেন তাঁরা পান সেই চেষ্টা করব।’’ সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘ওই এলাকার বাচ্চাদের পড়াশোনার প্রতি কোনও আগ্রহ নেই। ছোট থেকেই চোলাই তৈরিতে করছে তারা। পড়াশোনার প্রতি তাদের আগ্রহ বাড়াতে পঞ্চায়েতের মাধ্যমে এলাকায় একটি শিক্ষাকেন্দ্র তৈরির ব্যবস্থা করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy