স্কুলের মিড ডে মিল বন্ধ রাখা যাবে না-এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই নির্দেশ অগ্রাহ্য করেই গত ৮ অগস্ট থেকে খানাকুলের গোপালনগর কে কে জ্ঞানদা ইনস্টিটিউশনে মিল বন্ধ রাখার অভিযোগ উঠল।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক সমীরকুমার পালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে দিন কয়েক বিক্ষোভও দেখিয়েছেন অভিভাবকরা। কিন্তু তারপরও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।
তবে অতিরিক্ত জেলা শিক্ষা পরিদর্শক তন্দ্রা নাগ বলেন, “প্রধান শিক্ষককে অবিলম্বে মিড ডে মিল চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টা স্কুলের প্রশাসক এবং সংশ্লিষ্ট বিডিওকে বলা হয়েছে।” এমনকী মিল চালু না হলে প্রধান শিক্ষকের বেতন কাটা হবে বলেও জানান তিনি।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস ছয়েক আগে এই স্কুলের পরিচালন কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। গত এপ্রিল মাসে মাধ্যমিক শিক্ষা দফতর থেকে খানাকুল উত্তর চক্রের পরিদর্শক (সিআই) আবিদ হাসানকে স্কুলের প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। কিন্তু স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাঁকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে চাননি বলে অভিযোগ। আবিদ হাসানের অভিযোগ, ‘‘প্রধান শিক্ষক ইচ্ছে করে আমাকে কোনও কাজ করতে দিচ্ছেন না। ব্যাঙ্ক থেকে আর্থিক লেনদেন বন্ধ থাকার ফলে স্কুল পড়ুয়াদের খাবার দেওয়া যাচ্ছে না।’’ প্রধান শিক্ষকের অসহযোগিতা নিয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দফতরের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও ফল হয়নি বলে অভিযোগ।
স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক লক্ষ্মীকান্ত চৌধুরী বলেন, “স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ২০০ পড়ুযা প্রতিদিন মিড ডে মিল পেত। এখন তারা টিফিনের পরই বাড়ি চলে যাচ্ছে। স্কুল প্রশাসককে দায়িত্ব হস্তান্তর করার জন্য প্রধান শিক্ষককে চাপ দিয়েও কোন লাভ হয়নি।” প্রধান শিক্ষক সমীরকুমার পালকে ফোন করলেও কোনও উত্তর মেলেনি। বিডিও অমর বিশ্বাস বলেন, ‘‘বিষয়টি শুনেছি। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy