এখানেই হয় খুন। রবিবার ঘটনাস্থলে। —নিজস্ব চিত্র।
মোবাইল নিয়ে বচসার জেরে খনিকর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠল বন্ধুর বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে পাণ্ডবেশ্বরের হরিপুর পুরাতন ধাওড়া খনিকর্মী আবাসনের ঘটনা। পুলিশ জানায়, নিহত জয়রাম সিংহ (৫৫) ইসিএলের সিঁদুলি কোলিয়ারির সিএল জামবাদ খনিতে কাজ করতেন। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত এলাকারই বাসিন্দা, নিহতের ‘বন্ধু’, পেশায় গাড়িচালক সাহজাদ আলিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তদন্তকারীরা জানান, সাহজাদ জেরায় তাঁদের কাছে স্বীকার করেছেন, তিনি একটি নতুন মোবাইল কিনেছেন। মোবাইলটি জয়রামবাবু আছড়ে দেন বলে অভিযোগ। তা নিয়েই দু’জনের বচসা ও হাতাহাতি শুরু হয়। পুলিশ জানায়, জয়রামবাবুর সারা শরীরে ছুরির আঘাত রয়েছে। এমনকি, গলায় জোরাল আঘাতের জেরে নলি কেটে যায়। এর জেরেই মৃত্যু হয়েছে জয়রামবাবুর। দেহটি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এলাকাবাসী জানান, রাত ৯টা নাগাদ আচমকা জয়রামবাবুর আবাসন থেকে ‘বাঁচাও বাঁচাও’ আওয়াজ আসে। তার পরেই সব চুপ হয়ে যায়। এলাকার তৃণমূল নেতা গোপীনাথ নাগ জানান, সব চুপচাপ দেখে পড়শিরাই জয়রামবাবুর বাড়ির দরজায় বারবার ধাক্কা মারেন। কিন্তু কোনও কাজ না হওয়ায় দেওয়ালে উঠে দেখা যায়, জয়রামবাবু রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন বাড়িতে। এর পরেই খবর যায়, পাণ্ডবেশ্বর থানায়।
পুলিশ জানায়, মাসখানেক ধরে জয়রামবাবু বাড়িতে একাই থাকতেন। তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধু সাহজাদ আলির সঙ্গে প্রতি দিন সন্ধ্যায় নিজের ঘরেই আড্ডা দিতেন। অভিযুক্তের ভাই রাজা আলি জানান, তাঁর দাদার কাছে শনিবার রাত ৮টা নাগাদ একটি ফোন আসে। তার পরেই বা়ড়ি থেকে বেরিয়ে যান সাহজাদ। ঘণ্টাখানেক বাদে বাড়ি ফেরেন। রাজা বলেন, “দাদা বাড়ি ফিরতেই দেখি তাঁর হাত ও গাল থেকে রক্ত বার হচ্ছে। কী হয়েছে, জিজ্ঞাসা করলে দাদা জানান, তিন জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি হামলা চালিয়েছেন। কোনও ক্রমে বেঁচে ফিরেছেন।’’ এর খানিক বাদেই বাড়িতে পুলিশ আসে। অভিযুক্তের ভাই জানান, তখনই বোঝা যায়, দাদা কোনও অপরাধমূলক কাজকর্ম করেছে। ততক্ষণে পড়়শিদের কাছ থেকে জানা যায়, জয়রামবাবু খুন হয়েছেন। অভিযুক্ত সাহজাদ।
পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত চলছে। দু’টি ছুরি পাওয়া গিয়েছে ঘটনাস্থল থেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy