নিজের বাড়িতেই দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হয়ে গেলেন এক বৃদ্ধা। গুরুতর জখম হয়েছেন তাঁর স্বামী। বুধবার সন্ধ্যায় সিঙ্গুরের বাসুবাটি পঞ্চায়েতের মধুবাটি গ্রামের ঘটনা। নিহতের নাম আরতি পাড়ুই (৬৫)। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মনে করছে, পারিবারিক কারণে ওই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। আরতিদেবীর মৃতদেহের পাশ থেকে একটি তরোয়াল উদ্ধার করে পুলিশ।
জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। নিহতের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মধুবাটি হাসপাতালের প্রায় গা ঘেঁষেই পাড়ুই পরিবারের দোতলা বাড়ি। স্বামী রাজকুমার পাড়ুই এবং ছোট ছেলের সঙ্গে থাকতেন আরতিদেবী। স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা। তাঁদের বড় ছেলে কর্মসূত্রে মুম্বইতে থাকেন। ছোট ছেলে কলকাতায় একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। এ দিন তিনি কাজে গিয়েছিলেন। আরতিদেবী ও রাজকুমারবাবু বাড়িতেই ছিলেন। অভিযোগ, সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ একটি গাড়িতে চেপে জনা তিনেক দুষ্কৃতী বাড়ির সামনে আসে। দু’জন ভিতরে ঢোকে। এর পরেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই শিক্ষক-দম্পতিকে কুপিয়ে তারা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই আরতিদেবী মারা যান। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে কাতরাতে থাকেন রাজকুমারবাবু। সেই আওয়াজ পেয়ে প্রতিবেশীরা এসে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে আহত রাজকুমারবাবুকে সিঙ্গুর গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠায়। কিন্তু অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
এদিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, এক তলার একটি ঘরের মেঝেয় আরতিদেবীর দেহ পড়ে। তাঁর গলা এবং পেটে আঘাতের চিহ্ন। ঘরময় রক্ত। রক্তের দাগ ছিল বেসিন এবং টেলিফোনের রিসিভারেও। ঘরের কিছু জিনিসপত্র ছড়ানোছিটানো। পুলিশের অনুমান, ওই দম্পতির সঙ্গে দুষ্কৃতীদের ধস্তাধস্তি হয়েছিল। খুনের পরে দুষ্কৃতীরা বেসিনে হাত ধোয়। পুলিশের দাবি, রাজকুমারবাবু জানিয়েছেন যে তিনি দুষ্কৃতীদের চিনতে পারেননি।