সেই-জায়গা: এখানেই আটকানো হয় মোটরবাইক। নিজস্ব চিত্র
শ্মশান থেকে মোটরবাইক করে বাড়ি ফিরছিলেন বছর পঞ্চাশের সুদন পাত্র। মাঝপথে তাঁর পথ আটকায় কয়েকজন দুষ্কৃতী। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সুদনবাবুর পিঠে গুলি করে পালায় তারা।
শনিবার রাত তিনটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটে হুগলির বৈদ্যবাটি পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কে সি চ্যাটার্জি স্ট্রিটে। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তি আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পরে তদন্তকারীদের ধারণা, হামলাকারীরা সুদনের পরিচিত। পারিবারিক অশান্তির জেরেই এই ঘটনা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুদনবাবুর বাড়ি বৈদ্যবাটি পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কামারডাঙায়। তিনি জমি কেনাবেচার সঙ্গে যুক্ত। তিনি শনিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ মোটরবাইক করে বৈদ্যবাটির হাতিশালা শ্মশানে পরিচিত এক মহিলার সৎকার করতে গিয়েছিলেন। কে সি চ্যাটার্জি স্ট্রিটেই সুদিনবাবু এক আত্মীয়ের বাড়ি রয়েছে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরে সুদিনবাবু রক্তাক্ত অবস্থায় কোনও রকমে ওই বাড়ির পিছন দিকে গিয়ে লুটিয়ে পড়েন।
তদন্তকারীরা জানান, গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরেই সুদন তাঁর শ্যালক ও স্ত্রীকে ফোন করেন। কিন্তু তাঁরা ঘুমিয়ে থাকায় ফোন তোলেননি। ভোরে ঘুম থেকে উঠে মোবাইলে ‘মিসড্ কল’ দেখে শ্যালক সুদনকে ফোন করেন। তারপর তিনি অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে এসে সুদনবাবুকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
সুদনের স্ত্রী পাপিয়াদেবী শ্রীরামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগ, সম্পত্তি নিয়ে সুদনের সঙ্গে তাঁর দাদার গোলমাল ছিল। তার জেরেই ওই ঘটনা। পাপিয়াদেবীর দাবি, ‘‘কিছু দিন আগে পরিবারে অশান্তি হয়েছিল। তার জেরেই এই ঘটনা বলে মনে হচ্ছে। আমাদের বাইরে কোনও শত্রু নেই।’’
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের একাংশের অবশ্য বক্তব্য, শুধু পরিবার নয়, জমির দালালি নিয়েও কিছু লোকের সঙ্গে সুদনের বিরোধ ছিল। তদন্তকারীদেরও অনুমান, অভিযুক্তদের কয়েক জন জমির দালালির সঙ্গে যুক্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy