প্রতীকী ছবি।
রাতের অন্ধকারে একের পর এক ১৬টি তালা ভেঙে সমবায় ব্যাঙ্কে ঢুকেছিল দুষ্কৃতীরা। ব্যাঙ্কের নিরাপত্তাকর্মীদের রেখে যাওয়া বন্দুকের গুলি থেকে বারুদ দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভল্ট ভাঙার চেষ্টা করলেও শেষে তা খুলতে পারেনি। গ্রাহকদের টাকা বা গচ্ছিত অলঙ্কারে হাত দিতে না পারলেও ফিরে যাওয়ার আগে অবশ্য দুষ্কৃতীরা ভেঙে দিয়ে যায় ব্যাঙ্কের সব সিসি ক্যামেরা। তুলে নিয়ে যায় তার হার্ড ডিস্কও।
মঙ্গলবার রাতে চুরির এই চেষ্টা হয়েছে হাওড়ার লিলুয়া সমবায় ব্যাঙ্কের বেলগাছিয়া শাখায়। ওই সমবায় ব্যাঙ্ক সূত্রের খবর, অন্য তিনটি শাখার থেকে বেলগাছিয়া শাখাতেই গ্রাহক বেশি। ফলে গচ্ছিত টাকা ও সোনার পরিমাণও সেখানে অনেক বেশি। পুলিশের ধারণা, সে সব তথ্য জেনেই দুষ্কৃতীরা হানা দিয়েছিল।
পুলিশ সূত্রের খবর, সমবায় ব্যাঙ্কটিতে কাজের সময়ে দু’জন সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী থাকলেও রাতে বা ছুটির দিনে ব্যাঙ্কে কোনও নিরাপত্তাকর্মী থাকেন না। ওই ব্যাঙ্কের সম্পাদক অসিত মণ্ডল জানান, যেহেতু বেলগাছিয়ার শাখাটি ঘন জনবসতির মধ্যে তাই রাতে নিরাপত্তারক্ষী রাখা হয়নি। রাত পাহারার জন্য এলাকার আরজি পার্টিকেই টাকা দেওয়া হয়। এত দিন সেখানে এমন কিছু ঘটেনি। কিন্তু মঙ্গলবার রাতের ঘটনা উদ্বেগ বাড়িয়েছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের। অসিতবাবু বলেন, ‘‘রাত সাড়ে ৯টায় ব্যাঙ্ক বন্ধ করার পরে এ দিন সকালে যিনি প্রথম আসেন, তিনিই দেখেন ব্যাঙ্কের শাটার খোলা। ভিতরে ঢুকে দেখেন একের পর এক দরজার তালা ভাঙা। এর পরেই আমাদের খবর দেন তিনি। আমরাই লিলুয়া থানায় খবর দিই।’’ ব্যাঙ্কের তরফ থেকে এ দিন জানানো হয়েছে, ব্যাঙ্কের যাবতীয় সম্পদ সুরক্ষিত রয়েছে। এ নিয়ে গ্রাহকদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
পুলিশ জানায়, তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকলেও ভল্ট ভাঙতে পারেনি চোরেরা। ভল্টের সামনে নিরাপত্তারক্ষীদের বন্দুকের কার্তুজ খোলা অবস্থায় ছিল। সেগুলি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা জানান, সম্ভবত কার্তুজ থেকে বারুদ বার করে ভল্টে বিস্ফোরণের চেষ্টা করেছিল দুষ্কৃতীরা। পুলিশের অনুমান, এর পিছনে চক্র রয়েছে। তা না হলে সিসি ক্যামেরা ভেঙে হার্ড ডিস্ক খুলে নিয়ে যেত না। বুধবার ফরেনসিক বিশেষজ্ঞেরা ঘটনাস্থল ঘুরে আসেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy