Advertisement
E-Paper

পান্ডুয়ায় পুকুরে মিলল নিখোঁজ শিশুর মৃতদেহ

দু’দিন নিখোঁজ থাকার পরে আট মাসের শিশুকন্যার দেহ মিলল পুকুরে। বৃহস্পতিবার পান্ডুয়া থানার বৈঁচিগ্রামে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ালে পুলিশ ও এলাকায় ভোটের জন্য রাখা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা সেখানে পৌঁছয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৬ ০১:১০

দু’দিন নিখোঁজ থাকার পরে আট মাসের শিশুকন্যার দেহ মিলল পুকুরে। বৃহস্পতিবার পান্ডুয়া থানার বৈঁচিগ্রামে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ালে পুলিশ ও এলাকায় ভোটের জন্য রাখা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা সেখানে পৌঁছয়। শিশুটির দেহ ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। মেয়েকে খুন করা হয়েছে বলে মৃত রিতা টুডুর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ প্রতিবেশী এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম শিবু মালিক। হুগলির পুলিশ সুপার প্রবীন ত্রিপাঠী বলেন, ‘‘গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈঁচিগ্রামের দক্ষিণপাড়ায় স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে থাকেন রাম টুডু। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ মা রাইমণি টুডু বাড়ির কাছেই ডিভিসি খালে কাপড় কাচতে গিয়েছিলেন। তিনি যখন কাজে ব্যস্ত ছিলেন রিতা কাছেই খেলা করছি‌ল। সেই সময় ধৃত শিবুও তার সঙ্গে খেলা করছিল। পরে পড়শিদের কয়েকজন রিতাকে কোলে নিয়ে শিবুকে চলে যেতে দেখেন। তার পর থেকেই আর খোঁজ মিলছিল না রিতার। অনেক খুঁজেও বাবা-মা মেয়ের হদিস পাননি। পরে তাঁরা পড়শিদের কাছে জানতে পারেন তাঁরা রিতাকে কোলে করে শিবুকে নিয়ে যেতে দেখেছেন। রাম ও রাইমণি সঙ্গে সঙ্গে শিবুর বাড়িতে যান। কিন্তু তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। ঘটনাটা তখনই পুলিশকে জানাননি কেন? এ প্রশ্নের উত্তরে রাম টুডু বলেন, ‘‘ভেবেছিলাম হয়তো ওকে কোথাও নিয়ে গিয়েছে। পরে বাড়িতে দিয়ে আসবে।’’

বৃহস্পতিবার এলাকার একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয় রিতার দেহ। পরে এলাকায় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে শিবু। রিতার দেহ উদ্ধার নিয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষোভে গোলমালের আশঙ্কায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে ঘট‌নাস্থলে পৌঁছন ডিএসপি (ডি অ্যান্ড টি) উৎপল সাহা, সিআই ইন্দ্রজিৎ পাল। রিতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে শিবুর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এদিন পুলিশকে সুবল সরেন নামে এক গ্রামবাসী বলেন, ‘‘আমি দেখেছিলাম, মঙ্গলবার দুপুরে শিবু বাচ্চাটাকে কোলে করে নিয়ে যাচ্ছি‌ল। জিজ্ঞাসা করায় সে বলে, ওকে বিস্কুট খাওয়াতে নিয়ে যাচ্ছে। তা শুনে আমরা কেউ সন্দেহ করিনি।’’

এ দিন রিতার দেহ উদ্ধার হলে দেখা যায় তা ফুলে গিয়েছে। সম্ভবত দিন দু’য়েক ধরে দেহটি জলে ছিল বলে পুলিশের অনুমান। তবে বাইরে থেকে শরীরে আঘাতের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের বক্তব্য, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই সব স্পষ্ট হবে।

child pandua missing body
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy