Advertisement
E-Paper

ডেঙ্গি রোধে ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের প্রতিটি পুরসভাকে ডেঙ্গির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। কোনও রকম ঢিলেমি বরদাস্ত করা হবে না বলেও সরকারি হুঁশিয়ারি রয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০১৭ ০১:২৯
উদ্যোগ: এই অ্যাম্বুল্যান্স করেই নানা এলাকায় যাচ্ছে ‘মেডিক্যাল ইউনিট’। নিজস্ব চিত্র

উদ্যোগ: এই অ্যাম্বুল্যান্স করেই নানা এলাকায় যাচ্ছে ‘মেডিক্যাল ইউনিট’। নিজস্ব চিত্র

জ্বর-ডেঙ্গি থাবা বসিয়েছে হুগলির উত্তরপাড়াতেও। তা রুখতে এ বার ‘মেডিক্যাল ইউনিট’ নিয়ে পথে নামলেন পুর কর্তৃপক্ষ। ওই ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা ব্যবস্থায় রয়েছে অ্যাম্বুল্যান্স এবং রক্ত পরীক্ষার সরঞ্জাম। রয়েছেন চিকিৎসক-নার্সও। শনিবার থেকে পুরপ্রধান দিলীপ যাদবের নেতৃত্বে কাউন্সিলররা জ্বর কবলিত এলাকা পরিদর্শন শুরু করেন।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের প্রতিটি পুরসভাকে ডেঙ্গির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। কোনও রকম ঢিলেমি বরদাস্ত করা হবে না বলেও সরকারি হুঁশিয়ারি রয়েছে। কলকাতায় ইতিমধ্যে পথে নেমেছেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং কাউন্সিলররাও। সেই পথেই এ বার হাঁটলেন উত্তরপাড়া পুর কর্তৃপক্ষও।

পুরপ্রধান বলেন, ‘‘মূলত বস্তি এলাকায় যেখানে জ্বরের প্রকোপ বেশি, সেখানে মেডিক্যাল ইউনিটের ব্যবস্থা করেছি। অন্য জায়গাতেও ওই ইউনিট যাচ্ছে। সাধ্যমতো জ্বর প্রতিরোধের চেষ্টা করছি। পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সবাইকে একসঙ্গে চেষ্টা করতে হবে।’’

মাসখানেকেরও বেশি সময় জুড়ে উত্তরপাড়ার বিভিন্ন এলাকায় জ্বর ছড়াচ্ছে। তার মধ্যে উত্তরপাড়া স্টেশন লাগোয়া এলাকা, মাখলা, জি টি রোড সংলগ্ন টিপটপের গলি, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মালিকপাড়া লাগোয়া এলাকা, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিধান পার্ক, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের চক লেন, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের শিবনারায়ণ রোড, সরোজ মুখার্জি স্ট্রিট, শচীন্দ্রনাথ ব্যানার্জি রোডের বহু মানুষ রীতিমতো জ্বরে কাবু। কয়েক জনের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণুও মিলেছে বলে পুরসভা সূত্রের খবর।

জ্বর-ডেঙ্গির প্রকোপ শুরুর সময়ে স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, পুর কর্তৃপক্ষ ব্লিচিং পাউডার ছ়ড়াচ্ছেন না। মশা মারার তেলও দেওয়া হচ্ছে না। নিকাশি নালা বা রাস্তাঘাটের আবর্জনা ঠিকমতো সাফাই হচ্ছে না। পুরসভার এই শিথিলতার সুযোগ নিয়েই মশা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পুরসভার ২৪টি ওয়ার্ডে।

এখন অবশ্য সেই অভিযোগ তেমন শোনা যাচ্ছে না। তবে, কয়েকটি এলাকার বাসিন্দাদের প্রশ্ন, ‘‘ব্লিচিংয়ের নামে নর্দমার ধারে যা ছড়ানো হচ্ছে, তা আদৌ ব্লিচিং তো? কোনও গন্ধ নেই। এতে রোগ প্রতিরোধের কাজ হবে?’’ পুরপ্রধান অবশ্য জানান, ব্লিচিং এবং মশা মারার তেলের মান নিয়ে কিছু অভিযোগ তাঁর কানেও এসেছে। তিনি জানান, আন্তরিক ভাবেই জ্বর-ডেঙ্গি রোধের চেষ্টা হচ্ছে।

Medical Unit Mobile Ambulance van Dengue
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy