Advertisement
E-Paper

মানুষের ইট বিক্ষত চোখ, হনুমান উদ্ধার আরামবাগে

কলকাতার হাসপাতালে কুকুরছানা পিটিয়ে মারার ঘটনায় রাজ্য় যখন সরগরম, তখনই খানাকুল থেকে উদ্ধার করা হল জখম একটি হনুমানকে। বাঁ চোখে তার দগদগে আঘাতের চিহ্ন। সম্ভবত কোনও মানুষের ছোঁড়া ইটের আঘাতেই এমন হাল মনে করছেন খানাকুলের বাসিন্দাররা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০১৯ ০০:৫৭
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

কলকাতার হাসপাতালে কুকুরছানা পিটিয়ে মারার ঘটনায় রাজ্য় যখন সরগরম, তখনই খানাকুল থেকে উদ্ধার করা হল জখম একটি হনুমানকে। বাঁ চোখে তার দগদগে আঘাতের চিহ্ন। সম্ভবত কোনও মানুষের ছোঁড়া ইটের আঘাতেই এমন হাল মনে করছেন খানাকুলের বাসিন্দাররা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন তিনেক আগে স্থানীয় গণেশপুরে পূর্ণ বয়স্ক পুরুষ হনুমানটি আহত হয়। কেউ বা কারা তার দিকে ইট ছুঁড়ে মেরেছিল বলে অভিযোগ। তারপর থেকে সে গ্রামেরই একটি বাঁশবনে বসেছিল। একদল মানুষ তাকে আঘাত করেছে, আবার অন্য একদল মানুষই দয়া দেখিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তাঁরা গত দু’দিনে হনুমানটির দিকে আলু, কলা ছুঁড়ে দিয়েছেন। যাতে খাবার দাবার খেয়ে একটু সুস্থ হয়ে নিজের বাসস্থানে ফিরে যেতে পারে। কিন্তু তা হয়নি। স্থানীয় বিশ্বনাথ পান বলেন, ‘‘বাঁ চোখের আঘত দূর থেকেও বোঝা যাচ্ছে। নিশ্চয়ই দেখতে পাচ্ছে না। শরীরও হয়ত ভাল না। তাই বৃহস্পতিবার বনদফতরে খবর দিই।’’ জয়দেব মালিক-সহ বেশ কয়েকজন উদ্ধারে সাহায্য করেন।

এ দিন হনুমানটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান বন দফতরের কর্মীরা। আবার এ দিনই আরামবাগের গৌরহাটি গার্লস স্কুল সংলগ্ন একটি গাছ থেকে লাফানোর সময় বিদ্যুতের খুঁটিতে লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় আর একটি হনুমান। এটিও পুরুষ হনুমান, বয়স বছর তিনেক। তাকেও উদ্ধার করেছে বন দফতরে আরামবাগ রেঞ্জ।

রেঞ্জ অফিস থেকে জানানো হয়েছে, দুই হনুমানের শারীরিক অবস্থাই আশঙ্কাজনক। তাদের বিধাননগরের বন্যপ্রাণী চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠানো হবে। খানাকুলে হনুমানের উপর হামলার ঘটনাটিও খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন এক আধিকারিক। সঙ্গে সচেতনতা বৃদ্ধির কথাও বলেন তিনি।

Monkey Khanakul
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy