বাঁ দিকে, নোনা অ্যাথলেটিক ক্লাব ও ডান দিকে, খলিসানি আরজি পার্টির প্রতিমা। ছবি: সুব্রত জানা।
কারও কল্পনায় ঠাঁই পেয়েছে শিশুদের জগৎ। কারও পছন্দ হস্তশিল্প। কেউ তুলে এনেছেন স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস। দেখা যাবে সার্জিকাল স্ট্রাইকও। বর্ণময় নানা থিমে জমে উঠেছে উলুবেড়িয়া মহকুমার কালীপুজো।
কার্যত থিম নিয়ে যুদ্ধ জেতার মেজাজে নেমে পড়েছেন বিভিন্ন কালীপুজোর উদ্যোক্তারা। সেই সঙ্গে কোমর বেঁধেছে প্রশাসনও। কালীপুজো, বাজি ফাটানোকে কেন্দ্র করে কোথাও যাতে কোনও গোলমাল না হয় সে জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও আঁটোসাটো করছে হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশ। মণ্ডপে মণ্ডপে পুলিশ তো থাকছেই, থাকবে সাদা পোশাকে মহিলা পুলিশও। বিশেষ ব্যবস্থা হিসাবে থাকছে অ্যান্টি ক্রাইম স্কোয়াডের পুলিশ। এ ছাড়াও পুলিশের ২-৩টি জল জেলার বড় বড় মণ্ডপে নজরদারি চালাবে।
জেলার পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) সুকেশ জৈন বলেন, “পুজোর দিনগুলিকে শান্তিপূর্ণ রাখতে পুলিশের তরফে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’ মোটের উপর পুজোর আয়োজন, প্রশাসনের তৎপরতা—সব মিলিয়ে দীপাবলির প্রহর গোনা শুরু হয়েছে উলুবেড়িয়া, বাগনান ও অন্যত্র।
উলুবেড়িয়ার খলিসানি নেতাজি সংগ্রাম সঙ্ঘের থিম ‘ও আমার দেশের মাটি, তোমার পায়ে ঠেকাই মাথা’। স্বাধীনতার আগে ও স্বাধীনতার পরে সেনার আত্মত্যাগই মণ্ডপের বিষয়। পাশাপাশি তুলে ধরা হয়েছে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কথাও। আলোর কারিকুরিতে মণ্ডপে দেখা যাবে সার্জিকাল স্ট্রাইক। খলিসানি মহাকালী ফুটবল ক্লাব তাদের মণ্ডপ করেছে শিশুদের জন্য। কার্টুন মোটু-পাতলুর গ্রাম ফুরফুরি নগরের আদলে মণ্ডপে খুশি হবে কচিকাঁচারা। খলিসানি সুঁড়িখালি কোলেপাড়া কালীপুজো কমিটির মণ্ডপ আস্ত একটা দেশলাই বাক্স। প্রতিমা তৈরি দেশলাই কাঠি দিয়ে।
খলিসানি বটতলা শনি কালীমন্দির পুজো কমিটি বাঁকুড়ার মাতৃমন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি করেছে। খলিসানি আরজি পার্টির পুজোর মণ্ডপ দিল্লির লালকেল্লার আদলে। আমেদাবাদের কৃষ্ণ মন্দিরের আদলে মণ্ডপ করেছে ছাত্রসঙ্ঘ কালীপুজো কমিটি। কুলগাছিয়া জয়নগর ‘আমরা কজন’ ক্লাব মণ্ডপে ফুটিয়ে তুলেছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘কুমোর পাড়ার গরুর গাড়ি’ কবিতা। পদ্মাপারের বক্সীগঞ্জ থেকে শুরু করে কবিতায় নানা দৃশ্য দেখতে পাবেন দর্শকেরা। জয়নগর শিবতলা যুবকল্যাণ সমিতির প্রতিমা আখের ছিবড়ার। মণ্ডপে ব্যবহার করা হয়েছে আখের ছিবড়া ও মাটির ঘট। জয়নগর উন্নয়ন সঙ্ঘ ও উলুবেড়িয়া নোনা অ্যাথলেটিক ক্লাবের মণ্ডপে গ্রাম্য পরিবেশ। এ ছাড়া ছোটবড় অনেক পুজো নজর কাড়বে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এ বছর জেলায় প্রায় সাড়ে সাতশোর মতো কালীপুজো হচ্ছে। বড় পুজো খান পঞ্চাশেক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy