Advertisement
E-Paper

ডেঙ্গি রোধে পথে পুরসভা তবু প্রশ্ন

আনাজ বা মাছের বাজার থেকে প্রায় প্রতিদিনই পুরসভার গাড়ি আবর্জনা সংগ্রহ করছে। জিটি রোডের ধারে ডাঁই হয়ে থাকা ময়লাও নিয়মিত সরানো হচ্ছে।

প্রকাশ পাল

শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০১৭ ০২:১৬
মশা-মারতে: কীটনাশক ছড়াচ্ছেন পুরকর্মী। —নিজস্ব চিত্র।

মশা-মারতে: কীটনাশক ছড়াচ্ছেন পুরকর্মী। —নিজস্ব চিত্র।

আনাজ বা মাছের বাজার থেকে প্রায় প্রতিদিনই পুরসভার গাড়ি আবর্জনা সংগ্রহ করছে।

জিটি রোডের ধারে ডাঁই হয়ে থাকা ময়লাও নিয়মিত সরানো হচ্ছে।

কিন্তু শহরের সর্বত্র এমন সাফাই কেন চলে না? ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার মরসুম শুরুর আগে এটাই এখন প্রশ্ন শ্রীরামপুর শহরের বাসিন্দাদের।

প্রতিটি পুরসভাকেই জানুয়ারি মাস থেকে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া রোধে অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছিল নবান্ন। গত বছর শ্রীরামপুর শহরে বহু মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। মারাও যান কয়েকজন। মশা মারতে কালঘাম ছুটেছিল প্রশাসনের। পরিস্থিতি এমনই ভয়াবহ আকার নেয় যে, এ তল্লাটে ডেঙ্গি মহামারি ঘোষণা করে স্বাস্থ্য দফতর। সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বার আগেভাগেই মাঠে নেমেছে পুরসভা। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে পুরসভার বিশেষ গাড়ি নিয়ে তেল ছড়ানো হয় শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতাল, থান‌া, গার্লস কলেজে। স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি প্রচার চালাচ্ছেন। নাগরিকদের সচেতন করতে মিছিল হচ্ছে। কিন্তু শহরের জলকলের কাছে, আরএমএস মাঠের ধারে, পুরসভা সংলগ্ন উড়ালপুলের নীচে, প্রভাসনগরের একাংশে মাঝেমধ্যেই জঞ্জালের স্তূপ জমে থাকছে বলে অভিযোগ।

ওই সব এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, শহরে সাফাই অভিযান বা মশা নিধন এবং সচেতনতার প্রচারও সর্বত্র সমানতালে হচ্ছে না। শহরের এক প্রবীণ বাসিন্দা বলেন, ‘‘প্লাস্টিকের জন্য অনেক জায়গাতেই নর্দমায় জল সরে না। তা ছাড়া অনেক নর্দমা কংক্রিটের স্ল্যাব দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। সেখানে মশার দল নিশ্চিন্তে ডিম পাড়ছে।’’

কোথায় কোথায় কী ধরনের মশা বংশবিস্তার করছে তা না জানতে পারলে মশা দমন সম্ভব নয়, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক বহুদিন থেকেই এ কথা পুরসভাগুলিকে বলে আসছে। কিন্তু কলকাতা পুরসভা বাদে রাজ্যের আর কোনও পুরসভাতেই পতঙ্গবিদ নেই। প্রশাসন সূত্রের খবর, জেলার কোনও পুরসভাতেই পতঙ্গবিদ নেই। পতঙ্গবিদ নিয়োগের কোনও নির্দেশিকাও আসেনি। শ্রীরামপুর পুরসভার ‘ন্যাশনাল আরবান হেলথ মিশন’-এর নোডাল অফিসার শৌভিক পণ্ডা বলেন, ‘‘জেলায় এক জন পতঙ্গবিদ আছেন। এই সংক্রান্ত বৈঠকে তিনি উপস্থিত থাকছেন। মশার হামলা রুখতে তাঁর থেকে প্রয়োজনীয় পরমর্শ নেওয়া হচ্ছে।’’

পুরসভা সূত্রের দাবি, অক্টোবর-নভেম্বর মাস পর্যন্ত লাগাতার অভিযান চলবে। পুরসভার চেয়ারম্যান-ইন-কাউন্সিলর গৌরমোহন দে’র দাবি, ‘‘মশা নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে। চেষ্টা করছি শহরের সর্বত্রই অভিযান চালাতে।’’

শহর এ বার ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া মুক্ত থাকুক, এটাই চাইছেন বাসিন্দারা।

Dengue Municipality
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy