১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ না করেও মাস্টার রোলে নাম ঢোকানোর জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল কয়েকজন শ্রমিকের বিরুদ্ধে। কিন্তু প্রকল্পের সুপারভাইজার তাতে রাজি না হওয়ায় তাঁকে পিটিয়ে, ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে খুনের অভিযোগ উঠল ওই শ্রমিকদের বিরুদ্ধে।
হুগলির পুরশুড়ার চিলাডাঙি পঞ্চায়েতের ফতেপুর গ্রামে বুধবার ওই ঘটনায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় সুপারভাইজার সুজয় করকে (২৮) উলুবেড়িয়ার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছিল। রবিবার বিকেলে তিনি মারা যান। নিহত এবং অভিযুক্তেরা সকলেই শাসকদলের বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ওই শ্রমিকদের বিরুদ্ধে দাদাকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন নিহতের ভাই। পুলিশকে তিনি জানান, এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিতি অরুণ সরখেল, উত্তম পাত্র, সুভাষ ভৌমিক, বরুণ সরখেলরা কাজ না করেও দিন পনেরো ধরে ১০০ দিন প্রকল্পের মাস্টার রোলে নাম ঢুকিয়ে টাকা দিতে হবে বলে দাদাকে চাপ দিচ্ছিল। এমনকী পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ারও হুমকি দেয় তারা। কিন্তু দাদা জানিয়ে দেন, সরকারি টাকা নয়ছয় করতে পারবেন না। বারবার চাপ দেওয়ার পর কিছু করতে না পেরে শেষমেশ দাদাকে খুন করেছে ওরা। পুলিশ জানায়, তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তরা পলাতক।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত বুধবার গ্রামে একটি ভোজের নিমন্ত্রণ সেরে বাড়ি ফেরার সময় সুজয়বাবুকে তাঁর বাড়ির সামনেই লাঠি-বাঁশ নিয়ে পেটাতে থাকে অরুণ, উত্তম, সুভাষ, বরুণরা। সুজয়ের মাথা ইট দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়। বাড়ির লোক বাধা দিতে গেলে তাঁদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পুরশুড়া তৃণমূলের ব্লক সভাপতি জয়দেব জানা বলেন, ‘‘আমাদের সক্রিয় কর্মীর এ ভাবে খুন হওয়াটা খুবই দুঃখজনক। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক সাজা চাই আমরা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy