প্রতীকী ছবি।
বালি-জগাছা ব্লকের জলপ্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সেই মতো হাওড়ার অন্যান্য গ্রামাঞ্চলেও এ বার বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা নিল রাজ্য সরকার। শনিবার হাওড়ার শরৎ সদনে জেলা পরিষদের একটি অনুষ্ঠানে এসে রাজ্যের পঞ্চায়েত ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানান, বাগনান এবং শ্যামপুরে দু’টি জলপ্রকল্প তৈরি করবে রাজ্য।
সুব্রতবাবু জানিয়েছেন, হাওড়ার ওই এলাকাগুলির মানুষ গভীর নলকূপের উপরে নির্ভরশীল। যদিও ওই সমস্ত এলাকা আর্সেনিক প্রবণ নয়, তবুও গভীর নলকূপের থেকে ওঠা জল বিপজ্জনক। সেই জলে আর্সেনিক রয়েছে না অন্য কোনও রাসায়নিক থাকছে, তা পরীক্ষা না করে বলা সম্ভব নয়। তাই কোনও প্রকার ঝুঁকি না নেওয়াই ভাল। বরং বাগনান ও শ্যামপুরের দু’টি নদী আছে। সেখানকার গঙ্গা ও রূপনারায়ণের জল তুলে ট্রিটমেন্ট প্লান্টে পরিস্রুত করে গ্রামে সরবরাহ করার সুযোগ রয়েছে, তাই সেখানে ওই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, স্বাধীনতার এত বছর পরেও একশো শতাংশ মানুষের কাছে বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়নি। রাজ্যের ৬টি জেলার ৮৩টি ব্লক আর্সেনিক প্রবণ। তাতে শিশুরা সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
সুব্রতবাবু বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে আর্সেনিক ভয়ঙ্কর প্রভাব বিস্তার করেছে। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত ঘরে বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি বড় প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হয়েছে।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রকল্পটির জন্য এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাঙ্ক ৬০০ কোটি টাকা দেবে। তার জন্য ডিপিআরও তৈরি হচ্ছে। আর সেই প্রকল্পেরই একটি অঙ্গ হল হাওড়ার এই নতুন দু’টি ট্রিটমেন্ট প্লান্ট।
হাওড়া জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ কল্যাণ ঘোষ বলেন, ‘‘বালি-জগাছা ব্লকের মতোই বাগনান, শ্যামপুর ও সাঁকরাইলে বিশুদ্ধ পানীয় জলপ্রকল্প তৈরির আবেদন করেছিলাম। সাঁকরাইলে কিছু জমির সমস্যা রয়েছে, মিটে গেলে সেখানেও জলপ্রকল্প
তৈরি হবে।’’
কল্যাণবাবু জানান, ওই তিনটি জায়গায় জলপ্রকল্প তৈরি হলে আশপাশের ব্লকগুলিও তা থেকে বিশুদ্ধ জল পাবে। এ দিন হাওড়ার ২৬২টি স্কুলে বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পেরও উদ্ধোধন করেন মন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy