নতুন সভাপতি প্রত্যুষ মণ্ডলকে সংবর্ধনা। —নিজস্ব িচত্র
হাওড়া গ্রামীণ জেলা বিজেপির সভাপতির পদ হারিয়েছিলেন ২৪ ঘণ্টা আগে। এ বার নবনিযুক্ত সভাপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ‘আমন্ত্রণ’ই পেলেন না বিদায়ী সভাপতি।
রবিবার হাওড়া গ্রামীণ জেলা বিজেপির সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল শিবশঙ্কর বেজকে। তাঁর জায়গায় সভাপতি করা হয় প্রত্যুষ মণ্ডলকে। সোমবার নবনিযুক্ত সভাপতিকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় বিজেপির জেলা কার্যালয়ের পাশে একটি মাঠে। শিবশঙ্করবাবুর অভিযোগ, সেই সভায় তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এমনকী, যে ভাবে তাঁকে পদ থেকে সরানো হয়েছে, তার বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন বিদায়ী জেলা সভাপতি। শিবশঙ্করবাবুর দাবি, তাঁর অপসারণ সংক্রান্ত বিষয়ে ফেসবুকে ঘুরতে থাকা একটি পোস্ট দেখে দলের এক কর্মী তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। এর পরেই জানতে পারেন, তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দলের কেউ তাঁকে এ নিয়ে কিছু জানাননি। এতেই ‘আশ্চর্য’ হন শিবশঙ্করবাবু।
বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য অনুপম মল্লিক বলেন, ‘‘সাংগঠনিক নিয়ম অনুযায়ী কোনও পদে বদল হলে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে তা জানানো হয়। এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। শিবশঙ্করবাবু হয়তো বিষয়টি জানতেন না। দলের নিয়ম মেনেই নতুন সভাপতি নিযুক্ত করা হয়েছে।’’
গত বছরের ডিসেম্বরে হাওড়া গ্রামীণ জেলার সভাপতির দায়িত্ব পান শিবশঙ্কর। সাধারণত এত কম সময়ের মধ্যে কাউকে পদ থেকে সরানো হয় না। শিবশঙ্করের আক্ষেপ, ‘‘দলের এক জন সৈনিক হিসাবে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করেছি। হয়তো দল আমাকে যোগ্য মনে করেনি। তাই সরিয়ে দিয়েছে।’’ তবে তিনি এ-ও জানান, পদ থাক বা না-থাক, তিনি দলের হয়েই কাজ করে যাবেন।
নতুন জেলা সভাপতির সংবর্ধনা সভায় আমন্ত্রণ না-পাওয়ার খেদ অবশ্য গোপন করেননি শিবশঙ্কর। তিনি বলেন, ‘‘নতুন সভাপতির সম্বর্ধনা সভায় আমন্ত্রণ পর্যন্ত পেলাম না।’’ এ প্রসঙ্গে নবনিযুক্ত জেলা সভাপতির বক্তব্য, ‘‘এটা কোনও ঘোষিত কর্মসূচি ছিল না। এ দিন সকালে জেলা কার্যালয়ে কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম।
কর্মীরা উৎসাহিত হয়ে আমাকে ফুল ও মালা দিয়ে সংবর্ধনা দিয়েছেন।
আগামী দিনে শিবশঙ্করবাবুকে সঙ্গে নিয়েই কাজ করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy