চলতি শিক্ষাবর্ষের প্রথম ইউনিট টেস্ট সামনেই। কিন্তু এখনও অধিকাংশ স্কুলে এসে পৌঁছয়নি পর্ষদের ষষ্ঠ ও অষ্টম শ্রেণির ভূগোল বই। ফলে বই ছাড়াই পরীক্ষায় বসতে চলেছে ছাত্রছাত্রীরা। শুধু ভূগোল নয়, পড়ুয়াদের হাতে এসে পৌঁছয়নি ইতিহাস এবং বাংলা ব্যাকরণ বইও। অথচ প্রথম ইউনিট টেস্ট সামনেই। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলেই এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে বসতে হবে পরীক্ষায়। গোটা হাওড়া জেলা জুড়েই এমন ছবি। এই পরিস্থিতিতে ছেলেমেয়েরা কী ভাবে পরীক্ষা দেবে তা নিয়েই চিন্তিত অভিভাবকেরা।
পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সমস্ত বই দেয় রাজ্য সরকার। ফলে এই সব বই বাইরে থেকে কেনার কোনও উপায় নেই অভিভাবকদের। ফলে স্কুলের ভরসাতেই বসে থাকতে হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের। সমস্যা যে গুরুতর তা জানাচ্ছেন শিক্ষকেরাও। একটি স্কুলের ভূগোল শিক্ষক জানালেন, ‘‘আমরা না হয় বই ছাড়া ক্লাসে পড়িয়ে দিলাম। কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের তো সেটা বাড়িতে পড়তে হবে। সে ক্ষেত্রে বইয়ের সাহায্য তো লাগবেই।’’ একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কথায়, ‘‘ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবে পুরনো কিছু বই জোগাড় করে দেওয়া হয়েছে। তাতেই কোনওমতে ঠেকা দিয়ে চলছে।’’
শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছে জানুয়ারি মাস থেকে। স্কুলে স্কুলে ঘটা করে পালিত হয়েছে ‘বই দিবস’। ওইদিনই ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় নতুন বই। অথচ তিন মাস কেটে গেলেও ছাত্রছাত্রীদের হাতে নতুন বই এসে পৌঁছলো না। স্কুলে বই দেয় সর্বশিক্ষা মিশন। তারাই স্কুল পরিদর্শকদের মাধ্যমে স্কুলে স্কুলে বই পৌঁছে দেয়। বই না পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন সর্বশিক্ষা দফতরের হাওড়া জেলা দফতরের আধিকারিকেরা। তাঁদের বক্তব্য, টেক্সট বুক করপোরেশন সঠিক সময়ে বই-এর জোগান দিতে না পারায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। বই এসে গেলেই তা ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
কিন্তু বই এসে গেলেও এক মাসের মধ্যে পড়ুয়ারা কী ভাবে প্রস্তুতি নেবে? এর কোনও উত্তর মেলেনি সর্বশিক্ষা দফতরের কর্তাদের কাছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy