রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাতেই বিরোধী দল পরিচালিত পুরসভা থেকে জেলা পরিষদ ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা কসুর করছে না তৃণমূল। এ বার সিপিএম পরিচালিত বলাগড় পঞ্চায়েত সমিতির মহিলা সভাপতির বিরুদ্ধে ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ তুলে অনাস্থা আনলেন তৃণমূল সদস্যরা। মঙ্গলবার মহকুমাশাসক (সদর) সুদীপ সরকারের কাছে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়।
মহকুমাশাসক বলেন, ‘‘অনাস্থা প্রস্তাব পেয়েছি। আইনানুগ যা ব্যাবস্থা নেওয়ার নেওয়া হবে।’’ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে হুগলির এই পঞ্চায়েত সমিতির ৩৬টি আসনের মধ্যে বামেরা পায় ১৯টি আসন। তৃণমূল বাকি ১৭টি আসন দখল করে। সভাপতি হন সিপিএমের মহুয়া বাগ। অনাস্থা প্রস্তাবে তৃণমূল সদস্যদের অভিযোগ, সভাপতি বিভিন্ন কাজে অনিয়ম এবং দুর্নীতি করছেন। সমিতির কাজ পরিচালনার ক্ষেত্রে তিনি ব্যর্থ। দলের ১৭ জন সদস্যই অনাস্থা প্রস্তাবে সই করেন। সমিতির তৃণমূল সদস্য বীরেন বিশ্বাস বলেন, ‘‘কোনও ক্ষেত্রে বিল স্থায়ী সমিতিতে পাশ না করিয়েই কাজ করা হয়েছে। সব থেকে বড় সমস্যা হল, রাজ্যের অন্যান্য জায়গার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ওরা উন্নয়ন করতে পারছে না।’’ তৃণমূল নেতা বিশ্বজিৎ নাগের বক্তব্য, ‘‘ওরা অনভিজ্ঞ। বিভিন্ন সামাজিক কাজের সফল রূপায়ন ঘটাতে পারছেন না। তার ফল ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।’’
তৃণমূল সূত্রের খবর, ভোটাভুটি হলে সভাপতির বিরুদ্ধে সই করার জন্য সিপিএমের একাধিক সদস্যের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা বলা হয়েছে। ব্লক তৃণমূলের এক নেতার কথায়, ‘‘কী হয় দেখুন না!’’ সিপিএম শিবিরের অভিযোগ, এর আগেও তৃণমূল দল ভাঙানোর চেষ্টা করেছিল টাকার লোভ দেখিয়ে। পারেনি। এ বার টাকা এবং ভয় দেখিয়ে এই কাজ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সভাপতি মহুয়া বাগ বলেন, ‘‘আমরা কী কাজ করেছি, তা তো এলাকার উন্নয়ন দেখেই বোঝা যাবে। দুর্নীতি হলে নথিপত্রে বোঝা যাবে। আসলে ক্ষমতা দখলের জন্য ওরা ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে। আমাদের দলের কাউকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, এমনটাও হতে পারে।’’