এই এলাকা পড়ে উলুবেড়িয়া-১ ব্লকের চণ্ডীপুর পঞ্চায়েতে। চড়ুইভাতির মরসুম শুরু হওয়ার আগেই এই এলাকা তারা পরিষ্কার করে দেয় বলে পঞ্চায়েত সূত্রের খবর। শুধু তা-ই নয়, কোভিড-বিধি মেনে চড়ুইভাতি করা, প্রকাশ্যে মদ্যপান না করার আবেদন জানিয়ে ফ্লেক্সও ঝোলানো হয়েছে। পঞ্চায়েত ফ্লেক্স ঝোলালেও লাভ হয়নি।
ফুলেশ্বরে যাঁরা চড়ুইভাতি করতে যাচ্ছিলেন, তাঁদের গাড়ি পরীক্ষা করে উলুবেড়িয়ার নরেন্দ্র মোড় থেকেই পুলিশ ডিজে নামিয়ে নেয়। ফলে, ফুলেশ্বরে গঙ্গার ধারে চড়ুইভাতি হয় ডিজে ছাড়াই। এখানেও খুব বেশি মানুষ আসেননি। একই ছবি দেখা যায় শ্যামপুরের গড়চুমুকেও।
‘মাধবপুর পরিবেশ চেতনা সমিতি’র কর্ণধার জয়িতা কুণ্ডু কুঁতি বলেন, ‘‘চড়ুইভাতির জায়গাগুলিতে যাতে জমায়েত করতে না দেওয়া হয় সে জন্য পুলিশ-সহ প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে আমরা আবেদন জানিয়েছিলাম। দেখা গেল মানুষ নিজে থেকেই আসেননি। তাঁদের এই সচেতনতা প্রশংসার যোগ্য।’’
পুলিশেরও বক্তব্য, ভিড় না হওয়া সচেতনতার লক্ষণ। একইসঙ্গে জেলা (গ্রামীণ) পুলিশের এক কর্তা জানান, বর্ষশেষের হুল্লোড় বন্ধ করতে আদালতের নির্দেশ এবং রাজ্য সরকারের কঠোর মনোভাবের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের নজরদারি আরও নিবিড় করা হয়েছিল। ফলে যে গুটিকয় মানুষ এসেছিলেন, তাঁরাও অতিরিক্ত হুল্লোড়ে মেতে ওঠার সাহস পাননি।
তবে, হুগলির আরামবাগের চাঁদুর জঙ্গল এবং নদনদীর চরে কিছু পিকনিক হয়েছে। মাইক এবং ডিজে-ও বেজেছে কিছু জায়গায়। তবে, লোকালয় থেকে অনেক তফাতে থাকায় কোথাও কোনও অভিযোগ হয়নি। চাঁদুর, কামারপুকর-সহ কয়েকটি জায়গায় পুলিশ গিয়ে ডিজে বাজানো বন্ধ করে। গোঘাটের গড়মান্দারণ পর্যটন কেন্দ্র এবং খানাকুলের রাজা রামমোহনের আমবাগান বন্ধ থাকায় সেখানে পিকনিক হয়নি।
এ দিন সকাল থেকে ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুলিশ প্রচার করে। প্রকাশ্যে মদ্যপান এবং দ্বারকেশ্বরে স্নান বা নৌকাবিহারও নিষিদ্ধ করা হয়।