ঘুপচি গলির দু’ধার জুড়ে সার দিয়ে ছোট ছোট দোকান। গোটা চৌহদ্দি জুড়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড়ে হাঁটার জো নেই। প্লাস্টিকের ছাউনির তলায় বিরাম নেই বেচাকেনার।
বছরের পর বছর, দশকের পর দশক এমন ভাবেই ব্যবসা চলে আসছে হুগলির ব্যস্ততম শেওড়াফুলি হাটে। কলেবরে, ব্যবসার পরিমাণে জেলার অন্যতম বড় এই বাজারে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা কার্যত নেই বললেই চলে।
ব্যবসায়ীদের একাংশের বক্তব্য, অতীতে একাধিক বার এই বিষয় নিয়ে নাড়াচাড়া বয়েছে। দাবি উঠেছে বাজারে অগ্নিবিধি তৈরির। এক-আধবার আলোচনাও হলেও আজ পর্যন্ত কাজের কাজ কিছুই হয়নি। হাটের এক পাশে শেওড়াফুলি স্টেশন। আর এক পাশে গঙ্গা। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত এই হাট সরগরম থাকে। কাঁচা আনাজের বড় ব্যাপারিদের গুদাম রয়েছে। স্থায়ী দোকানও আছে প্রচুর। এর পাশাপাশি কয়েকশো মানুষ প্লাস্টিক টাঙিয়ে ডালা নিয়ে আনাজ বিক্রি করেন। এ ছাড়াও রয়েছে গোলদারি ব্যবসা। প্রচুর মুদিখানা রয়েছে। হাটের মধ্যেই রয়েছে মালপত্র রাখার গুদাম। অপরিসর হাটে দিনের পর দিন প্লাস্টিক ও নানা দাহ্য বস্তুর যে ভাবে সহাবস্থান চলে আসছে তাতে যে কোনও সময়েই আগুন লাগার আশঙ্কা রয়েছে।