পুড়শুড়ার পরে এ বার পান্ডুয়া।
হুগলিকে ‘নির্মল জেলা’ ঘোষণা করতে কোমর বেঁধেছে প্রশাসন। পুড়শুড়ার পরে এ বার পান্ডুয়াতেও প্রকৃতির ডাকে গ্রামবাসীদের মাঠেঘাটে যাওয়া আটকাতে অভিযান শুরু হল। তবে, এখানে কচিকাঁচারা নয়, মূলত পঞ্চায়েত সদস্যেরাই শুরু করলেন নজরদারি। ভোর হওয়ার আগেই তাঁরা বনে-বাদারে পাহারা শুরু করছেন। হাতে টর্চ। মুখে বাঁশি।
ব্লকের ১৬টি পঞ্চায়েতেই রবিবার কাকভোর থেকে জোর পাহারা চালু হয়। কোনও দল ঘাঁটি গাড়ে খোলা মাঠে, কেউ বা বাঁশবনে। কারও আবার ডিউটি ঝোপেঝাড়ে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) কৌশিক ভট্টাচার্য বা বিডিও গৌরাঙ্গ ঘোষও সকাল সকাল নজরদারিতে বেরিয়ে পড়েন। ফলে, বহু গ্রামবাসীকেই মাঠ থেকে ফিরতে হয়েছে কাজ না সেরেই। প্রশাসনিক আধিকারিকেরা জানান, খোলা আকাশের নীচে শৌচকাজ করলে যে রোগ ছড়ায়, তা অনেকেই জানেন। তা সত্ত্বেও অভ্যাস পাল্টান না। এ বার কিন্তু প্রশাসন হাল ছাড়বে না। খোলা মাঠে বসে পড়া বরদাস্ত করা হবে না। মাঠে বসার চেষ্টা করলে আপাতত সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হলেও আগামী দিনে অন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে, এ দিন অভিযানে প্রশাসনের কর্তারা দেখেন, কিছু জায়গায় বাড়িতে শৌচাগার তৈরি হয়নি। সেই সব বাড়িতে দ্রুত শৌচাগার তৈরি করা হবে বলে বিডিও গৌরাঙ্গবাবু আশ্বাস দেন। ইটাচুনা-খন্যান পঞ্চায়েতের প্রধান পার্থ ঘোষ বলেন, ‘‘এলাকায় ঘুরে ভাল সাড়া পাচ্ছি। প্রচার কর্মসূচি চলবে। আশাকর্মী বা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের প্রচারের কাজে সামিল করা হচ্ছে। দরকারে স্কুল-পড়ুয়াদেরও সামিল করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy