রবিবার সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে তাস খেলার সময় দুষ্কৃতীদের গুলিতে গুরুতর জখম হয়েছিলেন চাঁপদানির এক মদ বিক্রেতা ওমপ্রকাশ সাউ(৪৮)। পরে হাসপাতালে গভীর রাতে তিনি মারা যান। ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। নিহতের পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হলেও সোমবার রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি তারা। যদিও তাদের অনুমান পুরনো শত্রুতার জেরে এই খুন।
তবে ফের দুষ্কৃতীদের গুলিতে প্রকাশ্যে খুনের ঘটনায় পুলিশের নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি চাঁপদানিতেই একটি বাড়িতে অস্ত্র কারখানার হদিস পেয়েছিল পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল প্রচুর অস্ত্র। দু’জন কারিগর গ্রেফতারের পর মূল পাণ্ডা কলেজ পড়ুয়া এক ছাত্রকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ভদ্রেশ্বর লাগোয়া চন্দননগরের মহাডাঙা কলোনিতে গত ১ সেপ্টেম্বর দুষ্কৃতীদের হাতে মায়ের সামনেই বাড়ির কাছে খুন হন এক আলোকশিল্পী। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্তরা এখনও ধরা পড়েনি। ফের রবিবার গুলি করে খুনের ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয় মানুষ। দুষ্কৃতীদের এমন বাড়বাড়ন্তে পুলিশ-দুষ্কৃতী আঁতাতের অভিযোগও তুলেছেন অনেকে।
যদিও পুলিশের দাবি, দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে নজরদারি জারি রয়েছে। হুগলি জেলা পুলিশের এক পদস্থ কর্তা জানান, রবিবারের ঘটনায় খুনের মামলা শুরু হয়েছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।