সদ্যোজাতদের চিকিৎসার জন্য রয়েছে সিক নিউ বর্ন স্টেরিলাইজেশন ইউনিট বা এসএনএসইউ। কিন্তু শুধু ইউনিটই সার, সেখানে শিশুদের যথাযথ চিকিৎসার জন্য নেই কোনও শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। ফলে অন্য চিকিৎসক দিয়েই শিশুদের চিকিৎসা চলছে। বছর কয়েক ধরে এ ভাবেই চলছে হাওড়ার ডোমজুড় গ্রামীণ হাসপাতাল। এর ফলে রোগীর বাড়ির লোকজনদের হয়রান হতে হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের জন্য তাঁরা স্বাস্থ্য দফতরের কাছে আবেদনও জানিয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা ভবানী দাস বলেন, ‘‘সমস্যার কথা স্বাস্থ্য দফতরকে জানানো হয়েছে। তারা নিয়োগ করলেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শূন্য পদ পূরণ হবে।
শুধু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নয়, সাধারণ চিকিৎসক থেকে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী—সব ক্ষেত্রেই কর্মীর অভাব রয়েছে হাসপাতালে। হাসপাতালে শয্যাসংখ্যা মাত্র ৩০। অথচ রোগী ভর্তি থাকে প্রায় দ্বিগুণ। চিকিৎসক মাত্র ৫ জন। প্রয়োজন আরও তিন চিকিৎসকের। নার্স আছেন মাত্র ১২ জন। প্রয়োজন কমপক্ষে ২০ জন। চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী ৭ জন ও সুইপার ৪ জন। অথচ দরকার কমপক্ষে ১৫ ও ১২ জন। চিকিৎসকের অভাবে আর্য়ুবেদ বিভাগ বন্ধ, হোমিওপ্যাথি বিভাগ চলে মাত্র ৩ দিন। প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসক বসেন মাত্র ২ দিন। সব মিলেয়ে পরিষেবার অবস্থা বেহাল।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, শিশুমৃত্যু রোধ করতে স্বাস্থ্য দফতর ব্লক হাসপাতাল, মহকুমা হাসপাতাল বা জেলা হাসপাতালগুলোর পরিকাঠামোর উন্নতি করা হচ্ছে। তারই পদক্ষেপ হিসাবে বিভিন্ন জেলা হাসপাতাল বা মহকুমা হাসপাতালে এসএনসিইউ চালু করা হচ্ছে। বছর কয়েক আগে ডোমজুড় গ্রামীণ হাসপাতালেও এসএনসিইউ ইউনিট চালু করে স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু এখনও সেখানে কোনও বিশেষজ্ঞ শিশু চিকিৎসকের ব্যবস্থা করা যায়নি। বিশেষজ্ঞ শিশু চিকিৎসক না থাকায়, শিশুর চিকিৎসা করাতে আসা লোকজন সমস্যায় পড়ছেন।
হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানান, তাঁরা সাধ্যের মধ্যে যতটা পারেন শিশুদের চিকিৎসা করেন। বাড়াবাড়ি হলে রোগীকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এতে রোগীদের বাড়ির লোকজনকেও হয়রান হতে হচ্ছে। শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকলে এমন সমস্যা হতো না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy