প্রতীকী চিত্র।
ইংরেজি মাধ্যম স্কুল খোলার জন্য সম্প্রতি হাওড়া জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিক্ষক মিলবে তো?
প্রশ্নটা উঠছে পাঁচলার গঙ্গাধরপুর বিদ্যামন্দিরের একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ইংরেজি মাধ্যম পড়ুয়াদের সমস্যার কারণে। গ্রামীণ হাওড়ায় একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে সরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল বলতে ওই একটিই। কিন্তু এতদিনেও শিক্ষক পায়নি স্কুল। স্কুলের বাংলা মাধ্যমের শিক্ষকেরাই ইংরেজি মাধ্যমের ছাত্রছাত্রীদের পড়ান। পাশের বিএড কলেজের পড়ুয়ারা এসেও ওই স্কুলে পড়িয়ে যান। কিন্তু অনিশ্চয়তার জেরে কমছে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা।
তবে, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরে শিক্ষক পাওয়া নিয়ে আশাবাদী স্কুল কর্তৃপক্ষ। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শঙ্কর খাঁড়া বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ইংরেজি মাধ্যম স্কুল খোলা দরকার বলে ঘোষণা করেছেন। এ বার শিক্ষক সমস্যা মিটবে। ’’ স্কুল সার্ভিস কমিশনের পূর্বাঞ্চলীয় দফতর জানিয়েছে, ওই স্কুলের জন্য ইংরেজি মাধ্যমে পড়ানোর উপযুক্ত দু’জন শিক্ষক নির্বাচন করা হয়েছিল। কিন্তু অত দূরে তাঁরা যেতে চাননি। তবে, ফের চেষ্টা করা হবে।
সম্প্রতি হাওড়ার শরৎসদনে প্রশাসনিক বৈঠকে বাংলা মাধ্যমের পড়ুয়াদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন বাংলা মাধ্যম স্কুল ছেড়ে পড়ুয়ারা ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে যাচ্ছে, তা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন। শেষে মুখ্যমন্ত্রী হাওড়া জেলা স্কুল পরিদর্শককে বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল খোলার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন। তা হলে ছেলেমেয়েরা আর বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে যাবে না বলেও মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী।
পাঁচলার স্কুলটিতে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে ইংরেজি মাধ্যমে পড়ানো হচ্ছে ২০১১ সাল থেকে। শুরুতে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ছিল প্রায় ৩০ জন। কিন্তু এখন একাদশ শ্রেণিতে পড়ে পাঁচ জন, দ্বাদশে সাত জন। অথচ, এখানে ছাত্রছাত্রীদের জন্য নিখরচায় থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। পৃথক শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। নেই শুধু উপযুক্ত শিক্ষক। শুরুতেই ইংরেজি মাধ্যমে পড়ানোর জন্য শিক্ষক চেয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে আবেদন করেছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শিক্ষক মেলেনি। নামমাত্র ছাত্রছাত্রীর জন্য আলাদা ক্লাস হয় না। বাংলা মাধ্যমের পড়ুয়াদের সঙ্গে একসঙ্গেই ক্লাস করে তারা। অথচ, তাদের সিলেবাস আলাদা!
ইংরেজি মাধ্যমের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী শ্রেয়সী পাত্র বলে, ‘‘বাংলা মাধ্যমের শিক্ষকেরা অতিরিক্ত সময় আমাদের পড়িয়ে দেন। তবে, ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষক থাকলে আরও ভাল হত তো বটেই।’’
একটি স্কুলেই যেখানে সমস্যা মিটছে না, সেখানে নতুন করে ইংরেজি মাধ্যম স্কুল খোলা হলে পর্যাপ্ত শিক্ষক মিলবে তো? এই প্রশ্নে জেলা স্কুল শিক্ষা দফতর জানিয়েছে, যাবতীয় ব্যবস্থা করেই ইংরেজি মাধ্যম স্কুল খোলা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy