Advertisement
E-Paper

গ্রাহকের ক্ষোভ সামলাতে ‘শিখণ্ডী’ কর্মীরাই

গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে এখন কর্মীদের শরণাপন্ন হাওড়ার আমতার ১৪টি প্রাথমিক কৃষি সমবায় সমিতি।

নুরুল আবসার

শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০২:১৬

গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে এখন কর্মীদের শরণাপন্ন হাওড়ার আমতার ১৪টি প্রাথমিক কৃষি সমবায় সমিতি।

নোট-কাণ্ডের পরে টাকার অভাবে সমিতিগুলি গ্রাহকদের চাহিদামতো টাকা দিতে পারছে না তারা। সেই কারণেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক কৃষি সমবায় সমিতিগুলির কর্তারা।

প্রাথমিক কৃষি সমবায় সমিতিগুলিতে সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা রাখেন গ্রামের মানুষ। গ্রাহকদের সেই টাকা সমিতিগুলি জমা রাখে হাওড়া জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কে। ওই ব্যাঙ্কে প্রতিটি সমিতির সেভিং অ্যাকাউন্ট আছে। সেভিং অ্যাকাউন্ট থেকে প্রয়োজনমতো টাকা তুলে তা গ্রাহকদের দিত সমিতি। কিন্তু নোট কান্ডের পরে সপ্তাহে ২৪ হাজার টাকা তোলার আইনি ফাঁদে পড়েছে সমিতিগুলি। অল্প টাকা গ্রাহকদের ভাগ করে দিতে নাজেহাল হচ্ছে তারা। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে তাই কর্মীদের ব্যবহার করছে তারা।

কী রকম?

একেকটি প্রাথমিক কৃষি সমবায় সমিতিতে কর্মী আছেন গড়ে ৩ জন। ঠিক হয়েছে, ওই কর্মীদের শূন্য ব্যালেন্সে জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলিয়ে দেওয়া হবে। সমিতির অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তাঁদের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হবে। একেক জন কর্মী সপ্তাহে ২৪ হাজার টাকা তুলতে পারবেন। সমিতির নিজস্ব অ্যাকাউন্ট থেকে তোলা ২৪ হাজার টাকার সঙ্গে যোগ হবে তিন কর্মীর ৭২ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে সমিতির হাতে আসবে সপ্তাহে ৯৬ হাজার টাকা। ওই বাড়তি টাকা সমিতি ভাগ করে দেবে গ্রাহকদের।

আমতা ১ ব্লকের রসপুর পঞ্চায়েতের কোটালপাড়া প্রাথমিক কৃষি সমবায় সমিতির সম্পাদক রাজকুমার খাঁড়া বলেন, ‘‘আমাদের গ্রাহক সংখ্যা ২৫০০। সপ্তাহে ২০০ টাকার বেশি একজন গ্রাহককে দিতে পারছি না। চিকিৎসার প্রয়োজন হলে সেই সীমা সপ্তাহে পাঁচশো। এখন চাষের মরশসুম। কিন্তু আমরা বাড়তি টাকা দিতে পারছি না।’’ নতুন নিদানে গ্রাহকদের কিছুটা উপকার হবে বলে তিনি জানান।

আমতা-১ ব্লক সমবায় দফতরের অনুমতি নিয়েই এটা করা হচ্ছে বলে জানান ওই ব্লকের সমবায় রেজিস্ট্রার। তিনি বলেন, ‘‘নগদের জোগান বাড়াতে এই বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’ কী বলছেন কর্মীরা? ‘‘আমাদের হয়েছে সাপের ছুঁচো গেলার মতো অবস্থা।’’ বললেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সমিতির এক কর্মী। তাঁর কথায়, ‘‘সপ্তাহে আমাদের অ্যাকাউন্টে কী ভাবে ২৪ হাজার টাকা ঢুকছে, আয়কর দফতর তার তদন্ত করলে ফেঁসে না যাই।’’

Cooperative Bank Agitation
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy