Advertisement
E-Paper

অবসরপ্রাপ্তের পেনশন অমিল, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ

দু’বছর আগে তিনি অবসর নিয়েছেন। কিন্তু এখনও পেনশন পাচ্ছেন না চন্দননগর পুরসভা পরিচালিত বঙ্গ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক কুণাল সেন। কিন্তু কেন? পুরসভার তরফে কারা বাধা দিচ্ছে তা দেখার জন্য সিবিআইকে দায়িত্ব দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

গৌতম বন্দ্যেপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:১৬

দু’বছর আগে তিনি অবসর নিয়েছেন। কিন্তু এখনও পেনশন পাচ্ছেন না চন্দননগর পুরসভা পরিচালিত বঙ্গ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক কুণাল সেন। কিন্তু কেন? পুরসভার তরফে কারা বাধা দিচ্ছে তা দেখার জন্য সিবিআইকে দায়িত্ব দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

পেনশন নিয়ে দীর্ঘ টানাপড়েনের পরে কুণালবাবু হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। শুক্রবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। কুণালবাবুর আইনজীবী সুমন্ত বিশ্বাস জানান, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে রাজ্য সরকারের তরফে কয়েক দফায় তদন্ত হয়েছিল। কিন্তু কোনও অনিয়ম প্রমাণিত হয়নি। সুমন্তবাবু বলেন, ‘‘কুণালবাবুর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ যে প্রমাণিত হয়নি তা সরকারি আইনজীবী স্বীকার করেছেন। পেনশন ডিরেক্টরেটও একই কথা বলেছে। তাই বিচারপতি কেন্দ্রীয় সংস্থাকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।’’

কুণালবাবুর পেনশন নিয়ে জটিলতা কেন?

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালের জুলাইতে অবসর নেন কুণালবাবু। সেই সময় চন্দননগরের এক প্রাক্তন বিধায়ক পেনশন ডিরেক্টরেট এবং পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে লিখিত ভাবে জানান, কুণালবাবু স্কুলের কাজে অনিয়ম করেছেন। বিষয়টি যেন তদন্ত করে দেখা হয়। বিধায়কের চিঠি পেয়েই দুই দফতর নড়েচড়ে বসে। শুরু হয় তদন্ত। প্রধান শিক্ষকের পেনশনও ওই চিঠির পর আটকে যায়। জেলা স্কুল পরিদর্শক তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানিয়ে দেন, কুণালবাবু কোনও অনিয়ম করেননি। তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে স্কুলের অনেক উন্নতি করেছেন। তাঁর সম্পর্কে আনা অভিযোগ, সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ভিত্তিহীন।

ওই রিপোর্ট পাওয়ার পরই মেয়র রাম চক্রবর্তী ওই প্রধান শিক্ষককে পেনশন দিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু নির্দেশ কার্যকর হয় না। উল্টে আরও একটি তদন্তের দাবি তোলে পুরসভার একটি মহল। সেই তদন্তে ওই স্কুলের অডিট করানো হয়। সেই রিপোর্টও কুণালবাবুর পক্ষে যায়। কিন্তু তাঁর পেনশন ঝুলেই থাকে। কোনও সুরাহা না হওয়ায় কুণালবাবু হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। হাইকোর্ট তখন পেনশন ডিরেক্টরেটকে তদন্তের ভার দেন। কিন্তু ডিরেক্টরেটের তরফে তদন্তেও কুণালবাবুর বিরুদ্ধে কোনও অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।

শুক্রবার মামলাটির শুনানি ছিল। পেনশন ডিরেক্টরেটের তদন্তের কথা জানার পরে বিচারপতি পুর কর্তৃপক্ষকে দ্রুত কুণালবাবুর পেনশন মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে বিচারপতি বলেন, পুরসভার তরফে কারা ওই শিক্ষকের পেনশন বিলম্বিত হওয়ার নেপথ্যে কাজ করছে, তা আদালতের জানা দরকার। এরপরেই তিনি তদন্তভার সিবিআইকে দেন।

হাইকোর্টের ওই নির্দেশে কুণালবাবু স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘পুরসভার স্কুল বিভাগ যাঁরা দেখেন, তাঁদেরই একাংশ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে পেনশন আটকে দিয়েছেন।’’ পুরসভার তরফে মেয়র পারিষদ পার্থ দত্ত বলেন, ‘‘কুণালবাবু পেনশনের বিষয়ে যে পদক্ষেপ করার কথা, তা পুরসভার তরফে আগেই করা হয়েছিল। পরে বিষয়টি আদালতে যায়। এখন আদালত যা নির্দেশ দিয়েছে, পুরসভা তা পালন করবে।’’

Pension Calcutta High Court CBI Investigation
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy