স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করে গত ২০ জুন বিডিওকে চিঠি দিয়েছিলেন তৃণমূলের আট সদস্য। কিন্তু অনাস্থা প্রস্তাব আনার আগেই বুধবার বিডিওর কাছে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দিলেন ফরওয়ার্ড ব্লক প্রধান রিনা কারক। ঘটনাটি গোঘাট ১ ব্লকের শ্যাওড়া পঞ্চায়েতের। বিডিও অসিতবরণ ঘোষ বলেন, “প্রধান ইস্তফাপত্র দিয়েছেন। তা খতিয়ে দেখে পঞ্চায়েত আইনানুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রধানের পদত্যাগপত্র গৃহীত হলে অনাস্থা প্রস্তাবের প্রয়োজনীয়তাই থাকছে না।”
পদত্যাগ নিয়ে প্রধান রিনা কারক বলেন, ‘‘ওঁদের অভিযোগ অসত্য। বিরোধী দলের প্রধান হওয়ায় স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা দেওয়া হচ্ছিল। অকারণে চেয়ার আঁকড়ে থাকতে চাই না।” ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, শ্যাওড়া পঞ্চায়েতে মোট ১৩ জন সদস্যর মধ্যে ৮ জনের স্বাক্ষর করা অনাস্থার চিঠি বিডিওর কাছে জমা পড়ে। পঞ্চায়েতের আইন অনুসারে অনাস্থা প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে তলবি সভা ডাকতে বলা হয় প্রধানকে। প্রধান না ডাকলে ব্লক শাসন পরবর্তী ৭ দিনের মধ্যে সেই সভা ডাকবে। সভায় প্রধানের পক্ষে ৫০ শতাংশের বেশি সদস্য হাজির না থাকলে নতুন প্রধান নির্বাচন করা হবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে প্রধান পদত্যাগ করায় সে সবের আর প্রয়োজনই থাকল না।
পঞ্চায়েতে ১৩টি আসনের মধ্যে তৃণমূলের ৬টি, নির্দল হয়ে দাঁড়ানো বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের ৩টি এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের ৪টি আসন। প্রধান নির্বাচনের ভোটাভুটিতে গোষ্ঠী বিবাদের জেরে তৃণমূলের ৫ জন সদস্য অংশ নেননি। ফলে তৃণমূল ৪ এবং ফরওয়ার্ড ব্লক ৪ হয়ে যাওয়ায় লটারি হয়। লটারির মাধ্যেমেই ফরওয়ার্ড ব্লক সদস্য প্রধান এবং উপপ্রধান হন। এদিন প্রধানের ইস্তফা নিয়ে তৃণমূলের তরফে তাপস খাঁ বলেন, “পদত্যাগ করা ছাড়া প্রধানের আর উপায় ছিল না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy