Advertisement
১১ জুন ২০২৪

কলেজে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে গোলমালে মাথা ফাটল পথচারীর

স্যোসালের ব্যানার নিয়ে যাওয়ার সময় তৃণমূল পরিচালিত ছাত্র সংসদের নেতা ও কোন্নগর পুরসভার এক কাউন্সিলরকে মারধরের অভিযোগ উঠল। বৃহস্পতিবার দুপুরে নবগ্রাম হিরালাল পাল কলেজের ঘটনা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
উত্তরপাড়া শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৬ ০২:২৫
Share: Save:

স্যোসালের ব্যানার নিয়ে যাওয়ার সময় তৃণমূল পরিচালিত ছাত্র সংসদের নেতা ও কোন্নগর পুরসভার এক কাউন্সিলরকে মারধরের অভিযোগ উঠল। বৃহস্পতিবার দুপুরে নবগ্রাম হিরালাল পাল কলেজের ঘটনা। দলের দু’টি গোষ্ঠীর বিবাদেই এই ঘটনা বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। গোলমালের মাঝে পড়ে মাথা ফাটে এক পথচারীর।

কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক দীপক বাকুলি নামে প্রহৃত ওই ছাত্রনেতা উত্তরপাড়া থানায় খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছেন জনৈক ঠিকাদারের নামে। অভিযোগ পেয়ে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযুক্ত ধরা পরেনি। তৃণমূল সূত্রের খবর, অভিযুক্ত ওই কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূলের নবগ্রাম অঞ্চল সভাপতি অপূর্ব মজুমদারের ঘনিষ্ঠ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, আগামী ৮ ডিসেম্বর কলেজের বাৎসরিক অনুষ্ঠান‌। সেই উপলক্ষে দীপক এবং কোন্নগর পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর তন্ময় দেব ব্যানার নিয়ে মোটরবাইকে চেপে কলেজে যাচ্ছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, দুপুর দেড়টা নাগাদ ওই ঠিকাদার তাঁদের পথ আগলে দাঁড়ায়। লোহার রড দিয়ে তাঁদের মারধর করে। শেখ লাল নামে এক পথচারীর মাথায় রডের আঘাত লাগে। তাঁর মাথা ফেটে যায়। তাঁকে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

পুলিশকে দীপক জানিয়েছেন, বেশ কিছু দিন ধরেই কিছু দুষ্কৃতী কলেজে ঢুকে গালিগালাজ, পড়ুয়াদের হুমকি দিচ্ছিল। এদিনের ঘটনা নিয়ে অপূর্ববাবুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমি কলকাতায় ছিলাম। কলেজে একটা গোলমাল হয়েছে বলে শুনেছি। তবে ঠিক কি হয়েছে জানি না।’’

এ দিকে, কলেজ কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, বুধবার ছাত্র সংসদের ছেলেরা ছ’জন শিক্ষকের কাছে চাঁদা চান। শিক্ষকরা চাঁদা দিতে না চাওয়ায় তাঁদের হেনস্থা করা হয়। অধ্যক্ষ শ্রীকান্ত সামন্ত উত্তরপাড়া থানায় অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগ, ছাত্র সংসদের একাংশের জন্য কলেজের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। যদিও ছাত্র সংসদের তরফে চাঁদা চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে। এ ব্যাপারেও অপূর্ববাবুর দাবি, তিনি ঘটনার কথা শুনেছেন। তবে বিশদে জানেন না।

তবে দীপকবাবুকে মারধরের জেরে এ দিন ছাত্র সংসদের নেতা-কর্মীরা অধ্যক্ষকে ঘেরাও করেন। অধ্যক্ষের অবশ্য বক্তব্য, এটা কলেজের বাইরের ঘটনা। এ নিয়ে তাঁর কিছু বলার নেই।

জেলা পুলিশের এক অফিসার জানান, সব অভিযোগই তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Pedestrian injured Group clash
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE