Advertisement
E-Paper

ছাত্রীকে ধর্ষণের নালিশ, গ্রেফতার শিক্ষক, নেত্রীও

ছায়াদেবী শ্যামপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ। দিন কয়েক আগে ওই গ্রামেরই ছাত্রীটিকে প্রলোভন দেখিয়ে একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৭ ০০:২৯
ধৃত: উলুবেড়িয়া আদালতে অভিযুক্তরা। ছবি: সুব্রত জানা

ধৃত: উলুবেড়িয়া আদালতে অভিযুক্তরা। ছবি: সুব্রত জানা

একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক শিক্ষক এবং ওই কাজে মদতের অভিযোগে এক তৃণমূল নেত্রীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে হাওড়ার শ্যামপুরের বাসিন্দা, আশিস মণ্ডল নামে ওই শিক্ষক এবং ছায়া মণ্ডল নামে ওই নেত্রীকে
ধরা হয়।

ছায়াদেবী শ্যামপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ। দিন কয়েক আগে ওই গ্রামেরই ছাত্রীটিকে প্রলোভন দেখিয়ে একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেখানে উপস্থিত থাকার কথা ছায়াদেবী কবুল করেছেন বলে পুলিশের দাবি। গোটা ঘটনাটির ছবি তুলে ছায়াদেবী সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন, এমন অভিযোগও উঠেছে। হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, কোনও চক্রে ধৃতরা জড়িত কি না দেখা হচ্ছে।

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এমন একটি ঘটনায় দলের নেত্রীর নাম জড়িয়ে যাওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। হাওড়া গ্রামীণ জেলা তৃণমূল সভাপতি পুলক রায় বলেন, ‘‘আইন তার নিজের পথে চলবে। আমরাও দলীয় স্তরে এ বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি।’’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পঁয়তাল্লিশের আশিসবাবু টিউশন করে সংসার চালান। ওই ছাত্রীটিও তাঁর কাছে পড়তে আসত। আশিসবাবু বিবাহিত। ছাত্রীটির পরিবারের অভিযোগ, তাকে প্রলোভন দেখিয়ে আশিসবাবু এবং ছায়াদেবী একটি হোটেলে নিয়ে যান। সেখানে আশিসবাবু তাকে ধর্ষণ করেন। মদত দেন ছায়াদেবী। ছাত্রীটি বাড়ি ফিরে সব কথা মাকে জানায়। গ্রামেও বিষয়টি জানাজানি হয়। মঙ্গলবার রাতে জনতা আশিসবাবু এবং ছায়াদেবীর ঘরে চড়াও হন। দু’জনকেই দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জনকে গ্রেফতার করে।

স্থানীয়দের দাবি, ছায়াদেবীর সঙ্গে আশিসবাবুর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু ঠিক কী কারণে ছায়াদেবী ধর্ষণের ঘটনায় আশিসবাবুকে মদত দিতে গেলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের কর্তারা। তাঁরা জানান, এ বিষয়ে ছায়াদেবীকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

ধৃতদের বুধবার উলুবেড়িয়া আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক আশিসবাবুকে চার দিন এবং ছায়াদেবীকে দু’দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। অভিযোগ নিয়ে ধৃতদের পরিবারের লোকজন মুখ খুলতে চাননি।

Rape ধর্ষণ
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy