Advertisement
E-Paper

পাঁচলায় প্রহৃত পুলিশ

দুই পাড়ার বিবাদ থামাকে গিয়ে আক্রান্ত হলেন এক পুলিশকর্মী। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটে হাওড়ার পাঁচলার জয়রামপুর গ্রামে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৬ ০০:২৬

দুই পাড়ার বিবাদ থামাকে গিয়ে আক্রান্ত হলেন এক পুলিশকর্মী। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটে হাওড়ার পাঁচলার জয়রামপুর গ্রামে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই দিন রাত ১২টা নাগাদ মল্লিকপাড়ার দুই যুবক মোটরবাইকে বাড়ি ফিরছিলেন। কেন তাঁরা জোরে মোটরবাইক চালাচ্ছিলেন সেই প্রশ্ন তুলে তাঁদের পথ আটকান মিদ্যাপাড়ার এক যুবক। এই নিয়ে তাঁদের মধ্যে বচসা বাধে। শুরু হয় মারামারি। কিছুক্ষণের মধ্যে মিদ্যাপাড়া থেকে শ’দুই গ্রামবাসী মল্লিকপাড়ায় চলে আসেন। তাঁদের সঙ্গে মল্লিকপাড়ার বাসিন্দাদের সংঘর্ষ বেধে যায়। মল্লিকপাড়ায় দু’টি জরির কারখানায় ভাঙচুর করা হয়। বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ। গোলমালের খবর পয়ে পুলিশ এলাকায় আসে। সেই সময় পুলিশকে লক্ষ্য করেও বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। দুই পাড়ার গোলামালের মাঝে পড়ে আহত এক পুলিশকর্মী। পরে আরও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

মল্লিকপাড়ার যুবকেরা তৃণমূল করেন এবং মিদ্যাপাড়ার লোকেরা ফরওয়ার্ড ব্লকের কর্মী-সমর্থক। রাতের মতো ঝামেলা থেমে গেলেও শনিবার সকাল হতেই ফের গোলমাল শুরু হয়। মল্লিকপাড়ায় একটি ক্লাবঘরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ ওঠে মিদ্যাপাড়ার বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার পরে পুলিশ দু’টি গ্রামেই হানা দেয়। গোলমাল যাতে না বাড়ে তার জন্য এ দিন বিকেল থেকে র‍্যাফ টহল দেয়। ফব নেতা ফরিদ মোল্লার অভিযোগ, ‘‘ভোটের পর থেকে আমাদের কর্মী-সমর্থকদের উপরে হামলা চালাচ্ছে তৃণমূলের লোকেরা। মোটরবাইক চালানোকে কেন্দ্র করে সামান্য বচসার জেরে মল্লিকপাড়াতেও তৃণমূল আমাদের কর্মী-সমর্থকদের উপরে হামলা চালায়। দু’টি কারখানায় ভাঙচুর করেছে ওরা। সব ঘটনা ঘটল পুলিশের সামনেই।’’ এর সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই বলে দাবি করে পাঁচলার তৃণমূল বিধায়ক গুলশন মল্লিক বলেন, ‘‘বচসা থেকে মারামারি হয়েছে। আমাদের দলের কেউ এতে জড়িত আছে কি না খোঁজ নিচ্ছি।’’ পুলিশ জানায়, অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।

Panchla police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy