হুগলি জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ ও তৃণমূল নেতা আসফার হোসেনের গুলিতে জখম হওয়ার পিছনে রয়েছে পুরনো শত্রুতা। প্রাথমিক তদন্তের পর এমনটাই পুলিশের অনুমান। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, চণ্ডীতলাতেই বছর আড়াই আগে সমীর মালিক নামে এক যুবক খুন হন। নিহত ওই যুবক আসফারের দূরসম্পর্কের আত্মীয় ছিলেন। সেই খুনের শোধ তুলতেই এই হামলা কি না, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। বছর দু’য়েক আগেও একবার আসফাকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। সেই যাত্রায় কোনওক্রমে রক্ষা পান তিনি। কিন্তু এ বার আততায়ীরা রীতিমতো পরিকল্পনা করে তাঁর উপর হামলা চালায়। আহত আসফারের বিপদ এখনও কাটেনি বলে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে।
হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি মেহবুব রহমান বলেন, ‘‘চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছি। আসফারের পাঁজর থেকে গুলি বের হয়েছে। ওঁর বিপদ এখনও কাটেনি।’’ আসফার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় গোষ্ঠীকোন্দল আছে কি না, তা নিয়ে অবশ্য সভাধিপতি এ দিনও কোনও মন্তব্য করেননি।
জেলার পুলিশ সুপার সুকেশ জৈন বলেন, ‘‘ঘটনার পিছনে ঠিক কী কারণ, তা বের করার চেষ্টা হচ্ছে। মঙ্গলবার আরও দু’জনকে আটক করা হয়েছে।’’ পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার তদন্তে বিশেষ একটি দল তৈরি করা হয়েছে। তারা হুগলি-হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায় অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।
তবে গোষ্ঠীকোন্দলেই এই হামলা কি না সেই প্রশ্নে এখন সরগরম শাসক দলের অন্দর। জেলা সভাপতি তপনবাবু অবশ্য বলেন, ‘‘পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। হামলার নেপথ্যে যে-ই থাক, ছাড়া পাবে না। দলীয় স্তরেও বিষয়টি দেখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy