প্রতীকী ছবি।
ডিজে বন্ধে জাঙ্গিপাড়ায় পুলিশের তৎপরতা দেখা গেল শুক্রবার রাতেও।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাতে আঁটপুরে সরস্বতী পুজোর শোভাযাত্রায় তারস্বরে ডিজে বক্স বাজানো হচ্ছিল। রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে অভিযোগ আসে। বিষয়টি কানে আসতেই পুলিশ সেখানে গিয়ে ডিজে বন্ধ করে দেয়।
ডিজের উৎপাত বন্ধের দাবিতে হুগলির বিভিন্ন জায়গায় নাগরিক আন্দোলন চোখে পড়ছে। রাজবলহাটেও এই নিয়ে সরব হন সাধারণ মানুষ। ডিজে বন্ধের দাবিতে মিটিং-মিছিল হয়। স্কুল পড়ুয়ারাও পথে নামে। পুলিশের তরফেও প্রচার করা হয়। তা সত্বেও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজবলহাটে একাধিক পুজোর উদ্যোক্তারা বিকট আওয়াজে ডিজে বক্স বাজিয়ে শোভাযাত্রা শুরু করেন বলে অভিযোগ। তাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে জাঙ্গিপাড়া থানার ওসি সোমনাথ দে বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। বন্ধ করে দেওয়া হয় ডিজে। তাতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন গ্রামবাসীরা।
স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দীর্ঘদিন ধরেই ডিজের বিরুদ্ধে সরব। ওই সংগঠনের সভাপতি তথা চিকিৎসক প্রভাস ঘোষের অভিযোগ, ডিজে বাজানো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শুক্রবার দুপুরে কিছু যুবক রাজবলহাটের দিঘির ঘাটে তাঁর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখায়। গেট ধরে টানাটানি করা হয়। ডিজে ভাড়া দেন এমন এক ব্যক্তি ওই বিক্ষোভে ছিলেন। পুলিশ এসে তাঁদের সরিয়ে দেয়। ডিজে যাতে না বাজে, তা দেখতে ওসি নিজে বাহিনী নিয়ে ওই দিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত টহল দেন। এর মধ্যেই আঁটপুরে ডিজে বাজার খবর পেয়ে তা বন্ধ করা হয়। প্রভাসবাবুরা জানান, শনিবার রাজবলহাটে একাধিক পুজোর বিসর্জন হয়। তবে, তারা কেউ ডিজে বাজায়নি। ব্যাঞ্জো এবং ঢাক বাজিয়ে শোভাযাত্রা হয়।
হুগলি জেলা (গ্রামীণ) পুলিশের এক আধিকারিক জানান, সুশৃঙ্খল ভাবে উৎসব পালন করলে কারও কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু, নিষিদ্ধ ডিজে বক্স বাজালে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ, এতে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হয়। পুলিশের তরফে এই ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধিতে লাগাতার প্রচার হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy