Advertisement
E-Paper

দিঘি বাঁচাও কমিটির নেতা গ্রেফতার

তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলপথ নির্মাণের ক্ষেত্রে গোঘাটের ভাবাদিঘি নিয়ে জট তো কাটছেই না, ক্রমশ তা জটিল হচ্ছে। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার স্ত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে রবিবার বিকেলে গ্রেফতার করা হয় ‘দিঘি বাঁচাও কমিটি’র সম্পাদক সুকুমার রায়কে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৭ ০১:৫১

তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলপথ নির্মাণের ক্ষেত্রে গোঘাটের ভাবাদিঘি নিয়ে জট তো কাটছেই না, ক্রমশ তা জটিল হচ্ছে।

স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার স্ত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে রবিবার বিকেলে গ্রেফতার করা হয় ‘দিঘি বাঁচাও কমিটি’র সম্পাদক সুকুমার রায়কে। এর পরেই কমিটি অভিযোগ তোলে, ওই রেলপথ নির্মাণে বাধা সরাতে কমিটির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হচ্ছে। মিথ্যা অভিযোগেই সুকুমারবাবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন পনেরো আগে রেলের অধিগৃহীত জায়গায় একটি মন্দির নির্মাণের চেষ্টা হলে গ্রামে পুলিশ ক্যাম্প বসে। রবিবার বিকেলে সেই ক্যাম্প তুলে নেওয়ার দাবিতে সই সংগ্রহকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীদের মধ্যে মারপিট বাধে। সুকুমারবাবুর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে। গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।

অভিযোগ, মাসখানেকের মধ্যে কমিটির স্বপন রায়, অঞ্জন রায়, প্রসাদ রায়ের মতো কয়েক জনের বিরুদ্ধে নানা জামিনঅযোগ্য ধারায় মামলা হয়। পুলিশ অবশ্য তাঁদের ধরতে পারেনি।

‘দিঘি বাঁচাও কমিটি’র পক্ষে ভাস্কর দাসের অভিয‌োগ, “দিঘির উত্তর পাড় দিয়ে রেলপথ হোক। দিঘির মাঝ বরাবর মাটি ভরাট করে রেলপথ নির্মাণে আমাদের আপত্তি। সেই আপত্তি তুলে নিতে শাসকদলের নেতারা আমাদের ভয় দেখাচ্ছেন। হুমকি দিচ্ছেন। এখন আন্দোলন দমাতে বিধায়ক এবং পুলিশ যড়যন্ত্র করে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো শুরু করেছে।’’ অভিযোগ উড়িয়ে গোঘাটের বিধায়ক তৃণমূলের মানস মজুমদার বলেন, “ওই গ্রামে অশান্তির ঘটনাটি বিচ্ছিন্ন। এর সঙ্গে রেলপথ নির্মাণে বাধা দেওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে।”

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতেই সুকুমারবাবুকে ধরা হয়েছে। নানা গোলমালে জড়ানোর অভিযোগে আগে মামলা হয়েছে কমিটির কয়েক জনের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিতে সোমবার একটি মানবাধিকার সংগঠনের পাঁচ সদস্য গোঘাট থানায় যান।

প্রায় ৫১ বিঘা এলাকা নিয়ে ভাবাদিঘি। বর্তমানে দিঘির অংশীদার তফসিলি সম্প্রদায়ভুক্ত ১৭০টি পরিবার। গ্রামবাসীদের দাবি, দিঘির উত্তর পাড় দিয়ে রেলপথ বসানোর কথা ছিল। কিন্তু ২০১০ সাল নাগাদ তাঁরা জানতে পারেন, দিঘির মাঝ বরাবর রেলপথ নির্মাণ হবে। কয়েকজন ক্ষতিপূরণের টাকা নিলেও অধিকাংশই নেননি। তখন থেকেই কমিটি গড়ে তাঁদের দাবি, দিঘিকে ভাগ না-করে উত্তর পাড় দিয়ে রেলপথ হোক। পূর্ব রেল অবশ্য আগেই জানিয়েছে, উত্তর পাড় দিয়ে রেলপথ নির্মাণে কারিগরি সমস্যা রয়েছে। তখন থেকে সমস্যা অমীমাংসিত রয়ে গিয়েছে।

Pond Saving Committee Molestation Case Goghat
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy