Advertisement
E-Paper

অধ্যক্ষের পদত্যাগ, ট্রাস্টের খবরদারি নিয়ে অভিযোগ

নানা বিষয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের কর্তাদের সঙ্গে মতবিরোধ হচ্ছিল। অভিযোগ, সেই কারণেই সোমবার কামারপুকুর শ্রীরামকৃষ্ণ সারদা বিদ্যা মহাপীঠ কলেজের অধ্যক্ষ তারকনাথ রায় পদত্যাগ করেন। কলেজ পরিচালন কমিটির সভাপতির কাছে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০১৬ ০২:৩৫

নানা বিষয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের কর্তাদের সঙ্গে মতবিরোধ হচ্ছিল। অভিযোগ, সেই কারণেই সোমবার কামারপুকুর শ্রীরামকৃষ্ণ সারদা বিদ্যা মহাপীঠ কলেজের অধ্যক্ষ তারকনাথ রায় পদত্যাগ করেন। কলেজ পরিচালন কমিটির সভাপতির কাছে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।

যদিও অধ্যক্ষের দাবি, “ব্যক্তিগত কারণেই পদত্যাগ।” কলেজ পরিচালন কমিটির সভাপতি পরেশনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অধ্যক্ষ এক বছরের লিয়েন নিয়ে আরামবাগের নেতাজি মহাবিদ্যালয় থেকে এখানে এসেছিলেন। ফের সেখানে ফিরে যেতে চান জানিয়ে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন। তাঁর পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে।” পদত্যাগের খবর জানতে পেরে মঙ্গলবার সকালে কলেজ না ছাড়ার দাবি জানিয়ে অধ্যক্ষর কাছেও স্মারকলিপি দেন ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। বিক্ষোভও দেখানো হয়।

প্রশাসন ও কলেজ সূত্রে খবর, কামারপুকুরের কলেজটি ‘আনুর জনশিক্ষা পরিষদ’ ট্রাস্ট পরিচালনা করে। কলেজের পরিচালন কমিটির সম্পাদক অধ্যক্ষই। কলেজ পরিচালনায় ট্রাস্টের কিছু কাজ মানতে পারছিলেন না তিনি। ট্রাস্টের কর্তারাও অধ্যক্ষের কাজে অসন্তুষ্ট ছিলেন। গত শুক্রবার ট্রাস্টের সম্পাদক নির্মাল্য মুখোপাধ্যায় অধ্যক্ষকে শো-কজ করেন। সূত্রের খবর, এটা মানতে পারেননি অধ্যক্ষ। এর পরেই তিনি অধ্যক্ষ পদ থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এ বিষয়ে নির্মাল্যবাবুর সঙ্গে বারবার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

গোঘাটের বিধায়ক মানস মজুমদার বলেন, ‘‘অধ্যক্ষ আমাকে জানিয়েছেন, তিনি কলেজে কাজ চালিয়ে যেতে চান। কিন্তু যে কলেজে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে তাঁর পক্ষে আর কাজ করা সম্ভব নয়। বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জানিয়েছি।’’

কলেজেরই একটি সূত্রের খবর, সম্প্রতি ৭টি অস্থায়ী পদে নিয়োগের জন্য নিজেদের পছন্দের নাম অধ্যক্ষকে অনুমোদন করতে বলা হয় ট্রাস্টের তরফে। কলেজ পরিচালন কমিটির বৈঠক ডেকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়। এ ছাড়াও কলেজ চত্বরে সিসিটিভি বসানো এবং আর্থিক বিষয় নিয়েও মতপার্থক্য দেখা দিয়েছিল ট্রাস্টের সঙ্গে অধ্যক্ষের। কলেজ পরিচালন কমিটির সদস্য তথা গোঘাট ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তপন মণ্ডলের অভিযোগ, “ট্রাস্টের অন্যায় খবরদারি বরদাস্ত করতে না পেরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন অধ্যক্ষ।’’ তিনি জানান, কলেজটি সরকারি হাতে যাবে নাকি ট্রাস্টের অধীনে থাকবে তা নিয়ে বাম আমল থেকে একটি মামলা চলছে উচ্চ আদালতে। মামলার খরচ বাবদ ২০ হাজার টাকা দাবি করেছিল ট্রাস্ট। পরিচালন কমিটির বৈঠকে সেই টাকা দিতে আপত্তি তোলা হয়। পরিচালক কমিটির মিটিঙে অধ্যক্ষর পদত্যাগ নিয়ে আপত্তি তোলা হবে।

Trustee Board resignation
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy