Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Gratuity

পিছোল শুনানি, গ্র্যাচুইটি নিয়ে জট ফোর্ট গ্লস্টারে

কারখানাটি সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। বিক্রির টাকায় পাওনাদারদের দাবি মেটানোর জন্য আদালত নিযুক্ত মধ্যস্থতাকারী সংস্থার তরফে সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে কারখানার গেটে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, শ্রমিকদের গ্র্যাচুইটি মেটানো হবে।

প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

নুরুল আবসার
বাউড়িয়া শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২০ ০০:৩৮
Share: Save:

পিছিয়ে গিয়েছে মামলার শুনানি। ফলে, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে বন্ধ থাকা বাউড়িয়ার ফোর্ট গ্লস্টার কেব্‌ল কারখানার শ্রমিকদের গ্র্যাচুইটি মেটা‌নো নিয়ে জট এখনও কাটেনি। গ্র্যাচুইটির পরিমাণ বাড়ানোর দাবিতে শ্রমিক সংগঠনগুলি ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইব্যুনালের অ্যাপিলেট বিভাগে মামলা করেছে। গত ২২ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে সেই মামলার শুনানি ছিল। তা পিছিয়ে ৬ অক্টোবর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে বলে শ্রমিক সংগঠনগুলি সূত্রের খবর।

কারখানাটি সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। বিক্রির টাকায় পাওনাদারদের দাবি মেটানোর জন্য আদালত নিযুক্ত মধ্যস্থতাকারী সংস্থার তরফে সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে কারখানার গেটে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, শ্রমিকদের গ্র্যাচুইটি মেটানো হবে। ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শ্রমিকদের আবেদন করতে বলা হয়। কিন্তু ওই তারিখের মধ্যে ১২০০ শ্রমিকের মধ্যে মাত্র কয়েকজন আবেদন করেছেন বলে শ্রমিক সংগঠনগুলির দাবি।

মধ্যস্থতাকারী সংস্থার বিজ্ঞপ্তিকে ঘিরে প্রথম থেকেই রুখে দাঁড়ায় শ্রমিক সংগঠনগুলি। তাদের বক্তব্য, মধ্যস্থতাকারী সংস্থা মাত্র ২০ শতাংশ করে গ্র্যাচুইটি দেওয়ার কথা বলছে। যা শ্রম-আইন বিরুদ্ধ। ১০০ শতাংশ করে গ্র্যাচুইটি দেওযার দাবি ওঠে।পক্ষান্তরে, মধ্যস্থতাকারী সংস্থার এক পদস্থ কর্তা জানান, গ্র্যাচুইটির ব্যাপারে তাঁরা যা কিছু করছেন তা আদালতের নির্দেশ মেনেই। সেই মতোই শ্রমিকদের ২০ শতাংশ করে গ্র্যাচুইটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সংস্থাটির দাবি, তাদের বিজ্ঞপ্তির উত্তরে অনেক আবেদন জমা পড়েছে।

কারখানায় আইএনটিইউসি-র সম্পাদক আবেশ ঘোষ বলেন, ‘‘আমাদের কাছে যা খবর, তাতে মাত্র ১৪ জন শ্রমিক আবেদন করেছেন। আমরা সবাইকেই বোঝাচ্ছি, আপিল মামলার চূড়ান্ত নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত যেন তাঁরা অপেক্ষা করেন।’’ একই কথা জানান টিইউসিসি-র সম্পাদক তাপস চক্রবর্তী।কেব্‌ল কারখানাটি বন্ধ হয়ে যায় ২০০৩ সালের মার্চে। পাওনাদার ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক সংস্থাগুলি কারখানা বিক্রি করে তাদের পাওনা উসুল করার দাবি জানিয়ে ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইব্যুনালে মামলা করে। সেই মামলার রায়েই কারখানাটি বিক্রি করে দেওয়ার কথা বলা হয়। ৭১ কোটি টাকায় কারখানাটি কিনে নেয় বাউড়িয়ারই একটি চটকল সংস্থা। শ্রমিকদের গ্র্যাচুইটির সমস্যা মিটে গেলেই তাঁরা কারখানাটি চালু করে দেবেন বলে চটকল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Court Gratuity
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE