একটি মাত্র গদিঘর। অন্য ঘরে দুটি ঢাড্ডা। এই পরিকাঠামো নিয়ে এক বছর আগে চালু হয়েছিল হাওড়ার সাঁকরাইলের জরি হাব। দু’টি ঢাড্ডায় কাজ করেন জনা আটেক কারিগর। গদিঘরে বসেন ওস্তাগর লালবাবা জরিওয়ালা। ২০১২ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে উদ্বোধন করেছিলেন জরি হাবের। অথচ আজও হাল বদলায়নি জরি হাবের।
আর কাউকে হাবে আনা যাচ্ছে না কেন?
এর উত্তরে ছোট ও মাঝারি শিল্প দফতরের এক কর্তা জানান, ডোমজুড়, পাঁচলা, উলুবেড়িয়া ১ ও ২ ব্লকে জরিশিল্পীদের নিয়ে সমবায় সমিতি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। ওই সব সমিতিকে হাবে জায়গা দেওয়া হবে।
অল ইন্ডিয়া জরি ইউনিয়নের সভাপতি কাজি নবাব আলির অবশ্য অভিযোগ, ‘‘হাবটি আসলে চালুই হয়নি। সমিতির নাম করে মুষ্টিমেয় কয়েকজন ব্যবসায়ীকে হাবে জায়গা দেওয়া হয়েছে মাত্র। প্রকৃত জরিশিল্পীদের হাবে ব্যবসা করার সুযোগ দেওয়া হোক।’’ সারা ভারত জরি শিল্পী ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মুজিবর রহমানেরও দাবি, ‘‘হাবটি পুরোপুরি চালু করা হোক।’’
আরও পড়ুন: মাঠ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা
জরিহাবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্যের ছোট ও মাঝারি শিল্প দফতরকে। নিগম ছোট ও মাঝারি শিল্প দফতরকে প্রশাসনিক ভবনটি হস্তান্তর করে। ছোট ও মাঝারি শিল্প দফতর সূত্রে খবর, সিদ্ধান্ত হয়েছে জরিশিল্পীদের নিয়ে গঠিত সমবায় সমিতিগুলিকে জরি হাবে জায়গা দেওয়া হবে। এখানে তারা কারখানা করবে। তাদের উৎপাদিত পণ্য এখান থেকে সুরাত এবং মুম্বইয়ের ব্যবসায়ীদের কাছে সরাসরি বিক্রি করা হবে। যেহেতু সাঁকরাইল ছাড়া আর কোনও ব্লকে জরিশিল্পীদের সমবায় সমিতি গঠিত হয়নি তাই তাদের ছাড়া আর কাউকে জায়গা দেওয়া হয়নি।
সমিতির কর্তা লালবাবা জানান, সমিতিতে দেড়শো জন জরির কারিগর আছেন। তাঁদের অনেকে হাব-এ এসে কাজ করেন। বাকিরা বাড়িতে বসে কাজ করেন। ওই সব শিল্পীর উৎপাদিত পণ্য সমিতির মাধ্যমে সরাসরি চলে যায় সুরাত এবং মুম্বইয়ের ব্যবসায়ীদের হাতে। তাঁদের আর কলকাতার মহাজনদের কাছে যেতে হয় না।