কারও দরকার প্লাজমা, কারও সেরাম আবার কারও প্রয়োজন আরবিসি। অথচ, জেলার প্রায় কোনও ব্লাড ব্যাঙ্কেই রক্তের উপাদানগুলি আলাদা করে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই রোগীর পরিজনকে ছুটতে হয় কলকাতায়। ভাগ্য ভাল হলে জুটে যায় প্রয়োজন মতো।
গোটা রাজ্য জুড়ে ছবিটা মোটামুটি একই। হাওড়ায় সেই প্রয়োজন মেটাতে অবশ্য উদ্যোগী হচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। হাওড়া জেলা হাসপাতালে ‘ব্লাড কমপোনেন্ট সেপারেশন ইউনিট’ খোলার জন্য স্বাস্থ্য ভবনে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সে প্রস্তাব গৃহীত হলে জেলায় এই ধরনের ইউনিট সর্বপ্রথম হতে চলেছে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর।
এমনিতে জেলা হাসপাতালে যে ব্লাড ব্যাঙ্ক রয়েছে সেখানে পাওয়া যায় ‘হোল ব্লাড’ অর্থাৎ সম্পূর্ণ রক্ত। কিন্তু বেশিরভাগ রোগীরই সম্পূর্ণ রক্তের প্রয়োজন হয় না। প্রয়োজন হয় রক্তের নানা উপাদান। ‘হোল ব্লাড’-এ তাঁদের সমস্যা মেটে না। উল্টে হোল ব্লাড দিলে অনেক সময় রোগীর শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।
রক্তের বিভিন্ন উপাদান আলাদা করে পাওয়া যায় কিছু নির্দিষ্ট ব্লাড ব্যাঙ্কে। হাওড়া জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের অবশ্য সে জন্য ছুটতে হয়। স্বাস্থ্যভবন সূত্রের খবর, রাজ্য ‘ব্লাড সেফটি’-র বিশেষজ্ঞরা খুব শীঘ্রই হাওড়া জেলা হাসপাতাল পরিদর্শন করবেন। ‘ব্লাড কমপোনেন্ট সেপারেশন ইউনিট’ খোলার মতো পরিকাঠামো আছে কিনা তা খতিয়ে দেখে স্বাস্থ্য ভবনে রিপোর্ট দেবেন তাঁরা। তার ভিত্তিতেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।
তবে শুধু জেলা হাসপাতাল নয়। হাওড়ার জন্য আরও একটি হাসপাতালে ‘ব্লাড কমপোনেন্ট সেপারেশন ইউনিট’ খোলার সম্ভাবনা রয়েছে ভবিষ্যতে। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভবানী দাস জানান, উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতাল যে হেতু সুপার স্পেশ্যালিটিতে উন্নীত হচ্ছে, তাই সেখানে ওই ইউনিট অবশ্যই খোলা হবে।