বাম আমল থেকে বাঁধের উপরে বেআইনি ভাবে বসবাস করছেন অনেকে। তাঁদের সরানো যাচ্ছে না। তার জেরে বাঁধ সারাই এবং নতুন বাঁধ তৈরিতে সমস্যা হচ্ছে। সম্প্রতি তারকেশ্বরের চাঁপাডাঙ্গায় বাঁধ মেরামতি সংক্রান্ত একটি বৈঠকে এসে এই কথা জানান রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
চলতি বর্ষায় দিন কয়েকের টানা বৃষ্টি ও ডিভিসির ছাড়া জলে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় আনাজ চাষে ক্ষতি হয়েছে। ভেঙে গিয়েছে অনেক বাড়ি। কোথাও কোথাও জলের তোড়ে ভিত-সহ উপড়ে গিয়েছে তিন তলা পাকা বাড়ি। ক্ষতি হয়েছে অনেক বাঁধের। এখন রাজ্য জুড়ে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব চলছে। রাজ্যের সেচমন্ত্রীও বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে সেচ দফতরের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে বাঁধ মেরামতি এবং বাঁধ সংস্কারের পরিকল্পনা করছেন।
হুগলি জেলা সেচ দফতর সূত্রে খবর, চাঁপাডাঙার বৈঠকে সেচ দফতরের বিভাগীয় কর্তারা মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেন বেআইনি দখলদারিই বাঁধ সংস্কারের মূল বাধা। যে পরিবারগুলি মাটির বাঁধের উপরে বসবাস করছে তাঁদের পক্ষেও বিষয়টি ঠিক নয়। কারণ বন্যা হলে তাঁরাই সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হন।
সেচ দফতরের কর্তাদের দাবি, শুধু হুগলি নয়, বর্ধমান এবং দুই মেদিনীপুরেও এই সমস্যা রয়েছে। আরামবাগ মহকুমার দামোদর, মুণ্ডেশ্বরী এবং দ্বারকেশ্বরে সমস্যা সবথেকে বেশি। সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গরিব মানুষের বাড়ি তৈরির জন্য সরকারের নানা প্রকল্প রয়েছে। বাঁধের উপরে বসবাসকারীদের সেই প্রকল্পের আওতায় বাড়ি করে দেওয়া যায় কী না, সেই নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।’’ সেচমন্ত্রী জানান, আপাতত ক্ষয়ক্ষতি সমীক্ষার কাজ চলছে। তার পর মুখ্যমন্ত্রীকে পুরো বিষয়টিই জানানো হবে।
যদিও সেচমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী সিপিএমের হুগলি জেলা সম্পাদক সুদর্শন রায়চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘বাঁধের উপর লোকের বসতি বলতে কী বোঝাচ্ছেন মন্ত্রী? হুগলিতে ৫০০ বাঁধ কেন ভাঙলো? আরামবাগ শহরে তো বাঁধের উপর মানুষের বসতি ছিল না? তাহলে ভাঙল কেন? স্লুইস গেটওয়ালা বাঁধে মানুষ কীভাবে বসবাস করবে জানি না!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy