মাত্র দশ ঘণ্টার ব্যবধানে হাওড়ায় দু’টি পথ দুর্ঘটনায় ট্রেলারের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল দুই মোটরবাইক আরোহীর। প্রথম ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ কোনা এক্সপ্রেসওয়ের বাকসাড়া জানা গেটের কাছে। মৃতের নাম বিজন ঘোষ (৪৫)। বাড়ি উলুবেড়িয়ায়। পুলিশ জানায়, বিজনবাবু বাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন। জানা গেটের কাছে একটি মোটরবাইককে ওভারটেক করার চেষ্টা করতেই ডান দিক থেকে আসা একটি মালবোঝাই ট্রেলারের সঙ্গে তাঁর ধাক্কা লাগে। মোটরবাইক থেকে ছিটকে পড়েন বিজনবাবু। ট্রেলারের চাকায় পিষ্ট হয়ে যায় তাঁর দেহ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার প্রায় ৪৫ মিনিট পরে ওই মোটরবাইক আরোহীর দেহ উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনার জেরে মুম্বই রোডমুখী কোনা এক্সপ্রেসের রাস্তায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ঘটনার পরেই ট্রেলারের চালক পালিয়ে যায়।
দ্বিতীয় দুর্ঘটনাটি ঘটে শনিবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ আন্দুল রোডের চুনাভাটিতে। পুলিশ জানায়, এ দিন চুনাভাটির কাছে মুম্বই রোডমুখী একটি মালবাহী ট্রেলারকে ওভারকটেক করতে গিয়ে উল্টো দিক থেকে আসা আর একটি মোটরবাইকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় শান্তিনগরের বাসিন্দা ভাস্কর রায়ের (৪২)। ভাস্করবাবু ছিটকে গিয়ে পড়েন পিছন থেকে আসা ট্রেলারের চাকার তলায়। ট্রেলারের চাকা ভাস্করবাবুর মাথার ওপর দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনার পরেই ট্রেলারের চালক পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই যানজট হয় গোটা আন্দুল রোডে। পরে পুলিশ ক্রেন এনে ট্রেলার সরিয়ে নিয়ে যায়।
দু’টি ঘটনার ক্ষেত্রেই মোটরবাইক আরোহীদের বেপরোয়া গতিকে দায়ী করেছে পুলিশ। পুলিশের বক্তব্য, ইদানীং মোটরবাইক আরোহীদের ঝুঁকি নিয়ে ওভারটেক করার প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় কোনা এক্সপ্রেস বা আন্দুল রোডের মত ব্যস্ত রাস্তায় দুর্ঘটনা বেড়ে গিয়েছে। পলাতক দুই চালকের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy