Advertisement
E-Paper

ফের ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু দীর্ঘাঙ্গি মোড়ে

শনিবার ভোরে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে বিশ্বজিৎ রায় (৪৫) নামে এক সব্জি বিক্রেতার মৃত্যুতে তেতে ওঠে এলাকা। প্রায় আড়াই ঘণ্টা দিল্লি রোড অবরোধ করেন এলাকাবাসী।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০১৮ ০১:৫০
বিক্ষোভ: মৃতদেহ রাস্তার রেখে অবরোধ। নিজস্ব চিত্র

বিক্ষোভ: মৃতদেহ রাস্তার রেখে অবরোধ। নিজস্ব চিত্র

ফের হুগলির বৈদ্যবাটীর দীর্ঘাঙ্গি মোড়ে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণহানি। ফের ওই মোড়ে পথ নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।

শনিবার ভোরে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে বিশ্বজিৎ রায় (৪৫) নামে এক সব্জি বিক্রেতার মৃত্যুতে তেতে ওঠে এলাকা। প্রায় আড়াই ঘণ্টা দিল্লি রোড অবরোধ করেন এলাকাবাসী। দুর্ঘটনা রোধে ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা।

এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে ওই মোড়েই ডাম্পারের ধাক্কায় মারা যান শেওড়াফুলি ফাঁড়ির এক কনস্টেবল। তার মাস তিনেক আগে মায়ের হাত ধরে স্কুলে যাওয়ার পথে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে একটি শিশুর প্রাণ যায়। ওই ঘটনার পরেও দিল্লি রোড অবরোধ হয়েছিল।

এ দিনের দুর্ঘটনার পরে এডিসিপি (ট্রাফিক) মৃণালকান্তি মজুমদার জানান, ওই জায়গায় দুর্ঘটনা রোধে নানা পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু দিল্লি রোড সম্প্রসারণের কাজ চলায় তা করা যাচ্ছে না। সিগন্যাল এবং হাইমাস্ট আলো বসানো হবে। আপাতত অস্থায়ী ভাবে কিছু সার্চলাইট বসানো হয়েছে। রাস্তার কাজ শেষ হলেই বাকি সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভদ্রেশ্বরের বিঘাটি পঞ্চায়েতের পালারা কুমোরপাড়ার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ এ দিন ভোর পাঁচটা নাগাদ সাইকেলে আম নিয়ে শেওড়াফুলি হাটে যাচ্ছিলেন। দিল্লি রোড এবং বৈদ্যবাটি-তারকেশ্বর রোডের সংযোগস্থল দীর্ঘাঙ্গি মোড়ে পিছন দিক থেকে গমবোঝাই একটি ট্রাক পিষে দিলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। দেহ আটকে শুরু হয় অবরোধ। ট্র্যাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা চালু এবং দিনরাত ট্র্যাফিক পুলিশ মোতায়েনের দাবি ওঠে। ওই মোড়ের চেকপোস্টে ভাঙচুর চালানো হয়। শেষে পুলিশের মধ্যস্থতায় অবরোধ ওঠে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য শ্রীরামপুর ওয়া‌লশ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ট্রাক এবং চালককে আটক করা হয়।

মৃতের ছেলে চন্দনের অভিযোগ, পুলিশকে টাকা দেওয়ার ভয়ে অতিরিক্ত পণ্য বোঝাই ট্রাকটি দ্রুত গতিতে বেরনোর সময়েই দুর্ঘটনা ঘটে। অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশের দাবি, নিয়মমতো স্থানীয় নিয়ন্ত্রিত বাজার কর্তৃপক্ষের তরফে আনাজের ট্রাক থেকে টাকা নেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, দিল্লি রোড চওড়া হওয়ায় ওই চৌমাথায় দুর্ঘটনা বেড়েছে। কিন্তু সুরক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তার উপর বাঁশ ফেলে গাড়ি থামিয়ে চেকপোস্টে টাকা তোলায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ে। পুলিশের একাংশও মনে করছে, ওই মোড়ে ট্র্যাফিক সিগন্যাল প্রয়োজন। দরকার ওভারব্রিজ। তা হলেই দুর্ঘটন‌ায় পুরোপুরি রাশ টানা যাবে।

কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, ‘‘চব্বিশ ঘণ্টা পুলিশ দাঁড় করিয়ে রাখা সম্ভব নয়। তবে, শনিবার দুর্ঘটনাস্থলের প্রায় ১০০ মিটার দূরে পুলিশকর্মী যান নিয়ন্ত্রণ করছিলেন। দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে তাঁর কিছু করার ছিল না।’’

Hooghly Accident Death বৈদ্যবাটী
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy