Advertisement
E-Paper

টাকা নেই, হচ্ছে না রাস্তা সংস্কার

দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা সংস্কার হয়নি। ফলে কোথাও পিচ উঠে গিয়ে নুড়ি-পাথর বেরিয়ে এসেছে। কোথাও বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। অন্য সময় কষ্ট হলেও এই সব খানাখন্দ এড়িয়ে চলাচল করা গেলেও, বর্যা এলেই সেই দুর্ভোর আরও বাড়ে। রাস্তার দু’ধারে জল জমে যায়। সব দেখেও নীরব স্থানীয় প্রশাসন নীরব দর্শক হয়ে বসে থাকে বলে অভিযোগ পান্ডুয়াবাসীর।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৬ ০২:৪৪
জি়.টি রোডের বালিহাট মোড়ে সুশান্ত সরকারের তোলা ছবি।

জি়.টি রোডের বালিহাট মোড়ে সুশান্ত সরকারের তোলা ছবি।

দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা সংস্কার হয়নি। ফলে কোথাও পিচ উঠে গিয়ে নুড়ি-পাথর বেরিয়ে এসেছে। কোথাও বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। অন্য সময় কষ্ট হলেও এই সব খানাখন্দ এড়িয়ে চলাচল করা গেলেও, বর্যা এলেই সেই দুর্ভোর আরও বাড়ে। রাস্তার দু’ধারে জল জমে যায়। সব দেখেও নীরব স্থানীয় প্রশাসন নীরব দর্শক হয়ে বসে থাকে বলে অভিযোগ পান্ডুয়াবাসীর।

প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের যুক্তি, তাদের হাতে টাকা নেই। তাই কাজ করা যাচ্ছে না।

এলাকাবাসীর ক্ষোভ, পান্ডুয়া স্টেশন থেকে জয়পুর, তিন্না-জামনা, পাঁচগড়া, গহমী পর্যন্ত এবং বৈঁচি থেকে হাজিপুর মোড় পর্যন্ত রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা যায় না বললেই চলে। রাস্তা বেহালের তালিকায় রয়েছে বালিহাট্টা মোড় থেকে জিটি রোড, সিমলাগড়-রানাগড়, পাটরা হয়ে পান্ডুয়া স্টেশন। রাস্তা বেহালের কারণে নিত্যযাত্রী, স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারা সাইকেল নিয়ে যেতে হিমশিম খায়। তার উপর কেউ হঠাৎ অসুস্থ হলে গেলে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া আরও কষ্টকর। রাস্তা মেরামতির জন্য স্থানীয় পঞ্চায়েতে জানিয়েও কোনও ফল হয়নি বলেও আভিযোগ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জি টি রোডের ধারে পান্ডুয়া শশীভূষণ সাহা উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে। ওই স্কুলে যাওয়ার রাস্তাটি ২০০৭ সালে প্রয়াত সিপিএম বিধায়ক শেখ মাজেদ আলি পাকা করে ছিলেন। সংস্কার হওয়ার পরে জি টি রোডটি স্বাভাবিক ভাবে উঁচু হয়ে যায়। সেই কারণে স্কুলে যাওয়ার পথটি নিচু। সামান্য বৃষ্টি হলেই জল জমে যায়। স্কুলে যেতে ছাত্র-ছাত্রীদের সমস্যায় পড়তে হয়। এ ব্যাপারে পান্ডুয়া ব্যবসায়িক কল্যাণ সমিতির সম্পাদক গোপাল দের দাবি, ‘‘আমরা বহুবার এই রাস্তা নিয়ে পান্ডুয়া পঞ্চায়েত প্রধান, বিডিও-কে জানিয়েছি। প্রতিবার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি।’’ স্কুলের প্রধান শিক্ষক সোমনাথ তালুকদার বলেন, ‘‘স্কুলে ঢোকার রাস্তাটি উঁচু করার জন্য দুই ব্যবসায়ী এবং স্কুল মিলে কিছু টাকা পান্ডুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে জমা দিয়েছি। আশা করি কয়েক দিনের মধ্যে কাজটি শুরু হবে।’’ পান্ডুয়া পঞ্চায়েত প্রধান অভিজিৎ রায় অবশ্য দাবি করেন, ‘‘পান্ডুয়া শশীভূষণ সাহা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রবেশের রাস্তাটির জন্য একজন ব্যবসায়ি টাকা জমা দিলেও স্কুল কোনও টাকা জমা দেয়নি। ফলে রাস্তাটি সংস্কার করতে সমস্যা হচ্ছে।’’

রাস্তা সংস্কারের ব্যাপারে সিপিএম পরিচালিত পান্ডুয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চম্পা মাঝি বলেন, ‘‘আমাদের কোনও টাকা নেই। রাস্তার জন্য যা টাকা পেয়েছি তাতেই কাজ করেছি। জেলা পরিষদ কোনও রকম সহযোগিতা করছে না।’’ হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি মেহবুব রহমান বলেন, ‘‘ছোট কাজ পঞ্চায়েত করতে পারে। আমাদের হাতে যা টাকা ছিল তা দিয়েই উন্নয়ন করেছি। এখন আর টাকা নেই। বড় কাজগুলি করার জন্য বেশ অসুবিধা হচ্ছে।’’

Lack of Money Road Renovation work stopped Pandua
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy