বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে রাতভর তাণ্ডব চালিয়ে সর্বস্ব নিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। ভদ্রেশ্বর থানার মানকুন্ডু আর কে বন্ধ্যোপাধ্যায় সরণী(পূর্ব) এলাকায় শনিবার রাতের ঘটনা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার ওই এলাকার বাসিন্দা জয়ন্ত দাস বাড়ি তালাবন্ধ করে দুর্গাপুরে আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। রবিবার সকালে প্রতিবেশীরা দেখেন জয়ন্তবাবুর বা়ড়ির দরজা খোলা। তাঁদের সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা দুর্গাপুরে জয়ন্তবাবুকে ফোন করে ঘটনার কথা জানান। খবর পাওয়া মাত্র স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে তিনি ভদ্রেশ্বরে ফিরে আসেন। বাড়িতে ঢুকতে গিয়ে দেখতে পান বারান্দার গ্রিলের তালা ভাঙা। ঘরের দরজার লক ভাঙা। ভিতরে ঢুকে দেখেন তিনটি আলমারি ভেঙে তছনছ করা হয়েছে। জিনিসপত্র লন্ডভন্ড অবস্থায় ঘরের চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে। স্ত্রীর গয়নার খালি বাক্সগুলি এদিক ওদিক পড়ে রয়েছে। শুধু গয়না নয়, নগদ কয়েক হাজার টাকা, ২টি মোবাইল, ডিভিডি প্লেয়ার, দামী জামাকাপড় সব নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। জয়ন্তবাবুর দাবি, দুষ্কতীরা প্রায় ৫০ বাজার টাকা, ১৫ ভরি সোনার গয়না নিয়ে গিয়েছে।
রবিবার সকালে তদন্তে আসে পুলিশ। পুলিশের এক কর্তা জানান অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়ে দুষ্কৃতীরা সন্ধ্যার পর বাড়িতে ঢোকে। রাত বাড়লে অবাধে লুঠপাট চালিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই চম্পট দেয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এলাকায় এ ধরনের ঘটনা আগে কোনওদিন ঘটেনি। তবে বেশ কিছুদিন ধরে বহিরাগত কিছু লোকের আনাগোনা বেড়েছে এলাকায়। কোনওভাবে জয়ন্তবাবুদের বাড়ি না থাকার খবর জোগাড় করে তার সুযোগ নিয়ে লুঠপাঠ চালায় তারা। জয়ন্তবাবু বলেন, ‘‘মেয়ের পরীক্ষা শেষ হওয়ায় সে মামার বাড়ি গিয়েছিল। মেয়েকে নিয়ে আসার জন্য শনিবার সকালে স্ত্রীকে নিয়ে দুর্গাপুরে গিয়েছিলাম। রবিবার সকালে প্রতিবেশীরা ফোনে খবর দিতে চলে আসি। আমরা যে বাড়িতে ছিলাম না সেটা কেউ লক্ষ্য রেখেই ঘটনাটা ঘটিয়েছে।’’ স্থানীয় বাসিন্দা সূরজ মজুমদার জানান, এলাকায় এ ধরনের ঘটনা আগে ঘটেনি। তবে বাড়ি ফাকা থাকার খবর দুষ্কৃতীদের কাছে কোনওভাবে পৌঁছে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy