তৃণমূলের গোষ্ঠী-সংঘর্ষে জেরবার পুরশুড়ার সাঁওতা গ্রামে গিয়ে বিপন্ন গ্রামবাসীদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিল ‘সেভ ডেমোক্রেসি’।
দিন দশেক ধরে পুরশুড়া বিধানসভা এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের বিরাম নেই। প্রাক্তন বিধায়ক পারভেজ রহমান এবং বর্তমান বিধায়ক মহম্মদ নুরুজ্জামানের অনুগামীরা হরিণখোলা, ঘোলতাজপুর, তাজপুর, মজফ্ফরপুর, আমগ্রাম, বিরাটি, সাঁওতার মতো গ্রামগুলিতে দফায় দফায় বোমাবাজি করে। লাঠি, রড, কুড়ুল নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। দু’পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হন। বুধবার ‘সেভ ডেমোক্রেসি’র রাজ্য সম্পাদক চঞ্চল চক্রবর্তী-সহ তিন সদস্যের একটি দল সাঁওতা গ্রামে গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে।
চঞ্চল বলেন, ‘‘তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াতে এটাই আমাদের প্রথম পদক্ষেপ। অশান্তিতে গ্রামবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হচ্ছে। পুরুষরা ঘরছাড়া। ছেলেমেয়েরা স্কুল যেতে পারছে না। দু’পক্ষের অনুগামীরাই শান্তি চাইছেন। সমস্ত বিষয়টা আমরা রাজ্যপালকে জানাব।” শান্তি ফেরাতে আন্দোলনে নামারও ইঙ্গিত দেন তিনি।
গত বিধানসভা ভোটের পর থেকে ক্ষমতা দখলকে কেন্দ্র পুরশুড়ায় হামেশাই পারভেজ গোষ্ঠীর সঙ্গে নুরুজ্জামান গোষ্ঠীর লড়াই হচ্ছে। গত ১ জুন তারকেশ্বরে আয়োজিত জেলার প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি ওই দুই নেতার নাম করে সতর্ক করে দায়িত্ব ভাগ করে দেন। তার পরেও সংঘর্ষের বিরাম নেই। এ দিন ‘সেভ ডেমোক্রেসি’র প্রতিনিধিদের কাছে গ্রামের দু’পক্ষের মহিলারাই হামলার বর্ণনা দেন এবং শান্তি ফেরানোর আর্জি জানান। চঞ্চল জানান, শান্তি ফেরাতে তাঁরা আন্দোলনে নামবেন। প্রশাসনের কাছে কড়া হাতে অশান্তি মোকাবিলার দাবি জানাবেন।
পারভেজ এবং নুরুজ্জামান অবশ্য ‘সেভ ডেমোক্রেসি’র এই উদ্যোগের সমালোচনা করেন। দু’জনেরই অভিযোগ, ‘‘পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। এখন ওরা এসে আমাদের কর্মীদের আরও প্ররোচনা দিতে চাইছে বলে মনে হয়।”