Advertisement
E-Paper

বেলুড়ে জ্বরে মৃত্যু স্কুলছাত্রীর

মৃতা অনন্যা হালদার বেলুড় গার্লস হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। বেলুড়ে ঘুসুড়ি এলাকার গিরিশ ঘোষ রোডের সরকারি আবাসনের বাসিন্দা সে। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, শনিবার স্কুলে পরীক্ষা দেওয়ার পর বাড়ি ফিরলে দেখা যায়, তার জ্বর এসেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:০১

জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল বেলুড়ের এক স্কুলছাত্রীর। তবে জ্বরের কারণ জানা যায়নি।

মৃতা অনন্যা হালদার বেলুড় গার্লস হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। বেলুড়ে ঘুসুড়ি এলাকার গিরিশ ঘোষ রোডের সরকারি আবাসনের বাসিন্দা সে। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, শনিবার স্কুলে পরীক্ষা দেওয়ার পর বাড়ি ফিরলে দেখা যায়, তার জ্বর এসেছে।

স্থানীয় চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ওষুধ দেন। কিন্তু তাতে জ্বর কমেনি বলে জানিয়েছেন অনন্যার প্রতিবেশীরা। স্থানীয় কাউন্সিলর সীমা ভৌমিক জানান, শনিবার বেশি রাতে মেয়েটির বমি এবং পেট খারাপ হয়। ভোরের দিকে বেহুঁশ হয়ে প়ড়ে অনন্যা। পরিবারের লোকেরা তাকে স্থানীয় টি এল জায়সবাল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসকেরা অনন্যাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রাথমিক ভাবে মনে হয়েছে, ঘন ঘন বমি ও পেট খারাপ হওয়ায় মেয়েটির শরীরে জলের পরিমাণ কমে গিয়েছিল। শক সিন্ড্রোমেই সম্ভবত মৃত্যু হয়েছে তার। কিন্তু জ্বরের কারণ জানাতে পারেননি চিকিৎসকেরা। মৃত্যুর আগে মেয়েটির রক্ত পরীক্ষাও হয়নি বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর।

পরজীবী বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ বলছেন, প্রবল জ্বরের সঙ্গে বমি ও পেট খারাপ ডেঙ্গির অন্যতম উপসর্গ। বিশেষজ্ঞদের কারও কারও ধারণা, ছাত্রীটির হয়তো আগে থেকেই জ্বর হয়েছিল। কিন্তু সে পরীক্ষার জন্য কিছু বলেনি। বিষয়টি চেপে রেখেছিল। মৃত্যুর কারণ যাই হোক না কেন, শীতের মুখে এই ভাবে ডেঙ্গি ও অজানা জ্বর পিছু না ছাড়ায় চিকিৎসকেরা কিন্তু চিন্তিত। এর মধ্যে ফের বৃষ্টি নামায় এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় চিন্তা বেড়েছে চিকিৎসকদের।

নিম্নচাপের জেরে গত দু’দিন ধরে যে রকম বৃষ্টি হয়েছে, তাতে ইতিমধ্যেই জল জমে গিয়েছে কলকাতা ও হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায়। বিশেষ করে রাস্তার ধারে খোঁড়াখুঁড়ির জন্য যে গর্ত হয়েছে, সেগুলিতে এবং জঞ্জালের স্তুপে থাকা পরিত্যক্ত গ্লাস, বাটি, কাপ, ভাঙা বেসিন, কমোডের মধ্যে জমে থাকা জলেই ডিম পাড়ে মশা।

নিম্নচাপের জেরে দু’দিন সূর্যের মুখ দেখেনি শহর। সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও কিছুটা বেড়েছে। এই পরিবেশ মশাদের ডিম পাড়ার পক্ষে অনুকূল। এক পতঙ্গবিদের ব্যাখ্যা, উত্তুরে হাওয়ার দাপটে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামতে শুরু করেছিল। সপ্তাহখানেক কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫-১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করছিল। কিন্তু গত তিন দিন ধরে তা ২০ ডিগ্রির উপরে রয়েছে।

Fever Death Student
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy