Advertisement
E-Paper

হল না অনাস্থা ভোট, উত্তেজনা পান্ডুয়ায়

তৃণমূলের অভিযোগ, দুই সিপিএম সদস্য তাঁদের দলে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু এলাকার সিপিএম বিধায়ক তাঁদের মধ্যে এক জনকে আটকে রাখায় তিনি ভোটাভুটিতে আসেননি। সেই অভিযোগে পান্ডুয়া থানার সামনে এ দিন ধর্নাও দেয় তৃণমূল। ঘটনাটি হুগলির পান্ডুয়া ব্লকের জামনা পঞ্চায়েতে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০১৭ ০১:৪৬

দুর্নীতির অভিযোগে সিপিএম পরিচালিত পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিল তৃণমূল। মঙ্গলবার ছিল ভোটাভুটি। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য উপস্থিত না হওয়ায় ভোটাভুটি হল না।

তৃণমূলের অভিযোগ, দুই সিপিএম সদস্য তাঁদের দলে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু এলাকার সিপিএম বিধায়ক তাঁদের মধ্যে এক জনকে আটকে রাখায় তিনি ভোটাভুটিতে আসেননি। সেই অভিযোগে পান্ডুয়া থানার সামনে এ দিন ধর্নাও দেয় তৃণমূল। ঘটনাটি হুগলির পান্ডুয়া ব্লকের জামনা পঞ্চায়েতে। আনসার আলি মণ্ডল নামে ওই পঞ্চায়েত সদস্যের পরিবার থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছে। হুগলির পুলিশ সুপার সুকেশ জৈন বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

প্রশাসন সূত্রে খবর, ওই পঞ্চায়েতের মোট আসন ন’টি। তার মধ্যে গত পঞ্চায়েত ভোটো সিপিএম ছ’টি আসনে জিতেছিল। গত ২০ মে পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে অনাস্থা আনে তৃণমূল। তৃণমূলের দাবি, সম্প্রতি দুই সিপিএম সদস্য দলে যোগ দেওয়ায় অনাস্থা ভোটে তাঁদের জয় নিশ্চিত ছিল। কিন্তু এ দিন তলবি সভায় আনসার আসেননি। চেষ্টা করেও আনসারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর মোবাইল বেজে গিয়েছে। তবে দলবদল করা অন্য সদস্য অবশ্য এ দিন সভায় ছিলেন।

পান্ডুয়ার বিধায়ক আমজাদ হোসেনের দাবি, ‘‘আনসার তৃণমূলে যোগই দেননি। তাই ওঁকে লুকিয়ে রাখার প্রশ্ন নেই।’’ বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য জানান, সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য (এ ক্ষেত্রে ৫ জন) উপস্থিত না থাকলে ভোটাভুটি করা যায় না। এ দিন ৪ জন উপস্থিত থাকায় ভোটাভুটি হয়নি।

No Confidence Vote TMC CPIM
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy