উলুবেড়িয়া এসডিও অফিসে এটাই পরিচিত দৃশ্য। —নিজস্ব চিত্র।
খাঁ খাঁ করছে রোদ। বৃষ্টি দূরের কথা, এক টুকরো মেঘ পর্যন্ত নেই আকাশে। কিন্তু তার মধ্যেই হঠাৎ হু হু করে জল ঢুকতে শুরু করল উলুবেড়িয়া মহকুমা শাসকের (এসডিও) অফিস চত্বরে এবং কিছুক্ষণের মধ্যে জমে গেল হাঁটু সমান জল।
সম্প্রতি বার কয়েক এই ঘটনা ঘটলেও উলুবেড়িয়া মহকুমা অফিসে এই সমস্যা নতুন নয়। অফিস সংলগ্ন গঙ্গায় জোয়ার এলেই এই অবস্থা হয়। মহকুমা শাসকের অফিসের নিচু জায়গাগুলি জলে ডুবে যায়। ট্রেজারি অফিস, কোর্টের পুলিশ ব্যারাক, নির্বাচন কমিশনের দফতর-সহ ওই চত্বরে থাকা বেশ কয়েকটি সরকারি অফিসেও জল ঢুকে যায়। জল নামতে লেগে যায় কয়েক ঘণ্টা। সমস্যায় পড়েন মহকুমা শাসকের অফিসে আসা মানুষ সমস্যায় পড়েন।
কেন এই সমস্যা?
উলুবেড়িয়া পুরসভা এবং মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মহকুমাশাসকের অফিসের জল নিকাশির জন্য স্বাধীনতার আগে থেকে একটি নিকাশি নালা রয়েছে। সেই নালাটিই এই সমস্যার মূল কারণ। ওই নালাটি এগারো ফটকের কাছে বনস্পতি খালে মিশেছে। বনস্পতি খালের সামনেই ভাগীরথী নদী। জোয়ার এলে গঙ্গার জল ওই নালা দিয়ে মহকুমা শাসকের অফিসে ঢোকে। ওই অফিস চত্বরে অবস্থিত পুলিশ ব্যারাকের এক আবাসিকের ক্ষোভ, ‘‘মাঝে মধ্যে ঘরের মধ্যে এক হাঁটু জল জমে যায়। তখন সব জিনিস বিছানায় তুলে দিতে হয়।’’ ট্রেজারি অফিসে কাজে এসেছিলেন সতীশ ভট্টাচার্য নামে এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, ‘‘বৃষ্টির নামগন্ধ নেই। অথচ এখানে হাঁটু জল! প্রশাসন কেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে না?’’
উলুবেড়িয়ার মহকুমা শাসক অংশুল গুপ্ত বলেন, ‘‘পুরসভা ও সেচ দফতরের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ তবে পুরসভার চেয়ারম্যান অর্জুন সরকারকে ফোন করা হলে উনি ধরেননি। এসএমএসের উত্তর দেননি।
যদিও পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান আব্বাসউদ্দিন খানের আশ্বাস, ‘‘সেচ দফতরের সঙ্গে কথা বলে ওই নিকাশি নালার মুখে স্লুইস গেট বসানো হবে। অনেকগুলি নালার ক্ষেত্রে এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানেও সেই ব্যবস্থা করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy